জন্মের সময়ই প্রাণঘাতী সমস্যা, জন্মের ২ মাস পরেও ‘NICU’-তে দিয়া মির্জার নবজাতক পুত্রসন্তান
বলিউডের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন দিয়া মির্জা। তার প্রথমবার বিয়ে চিরস্থায়ী হয়নি। এরপরে তিনি প্রেম করেন শহরের একজন ব্যাবসায়ীর সঙ্গে। তার দ্বিতীয়বার বিয়ে হওয়ার বেশি দিন হয়নি কিন্তু নেই মধ্যেই আসতে চেলেছে সুখবর।বিয়ের এক মাসের মাথাতেই বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করেন নেটিজেনদের সাথে। এতে খুশি অনুরাগীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে অনুরাগীদের ধারণা ছিল তিনি আগে থেকেই প্রেগন্যান্ট ছিলেন ,কিন্তু সেই খবর প্রকাশ্যে আনেননি ।
দিয়া মির্জা বর্তমান স্বামীর সঙ্গে প্রায় গত ৪ বছর ধরে প্রেম করছেন। গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি এই জুটি সাত পাকে বাধা পড়েন। বিয়েতে বেশি জাকজমক ছিল না। খুবই কম সংখ্যক আত্মীয়াদের নিয়ে নিজেদেদর বিয়ে সেরে ফেলেন এই জুটি। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মালদ্বীপে গেলেন হানিমুনে।এই নিয়ে দিয়া মির্জা দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন।প্রথমবার তার বিয়ে প্রযোজক সহিলের সঙ্গে। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়নিও সেই বিয়ে। এবারে অভিনেত্রী ,মুম্বাইয়ের এক খ্যাতনামা ব্যাবসায়ী ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজরকে।
সম্প্রতি,বলিউড নায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তার সন্তানের প্রথম ছবি ও ফ্যানেদের সাথে শেয়ার করলেন তার এই সন্তান হওয়ার সুখবর। সন্তানের হাতে হাত রেখে ছবি তুলেছেন তার স্বামী বৈভব ও দিয়া। সেই ছবি শেয়ার করে তারকা জনিয়েছে সন্তানের নাম রাখা হয়েছে অব্যয়ন আজাদ রেখি।সেই সাথে দম্পতি আরো জানিয়েছে যে যেহেতু তাদের এই সন্তান সময়ের অনেক আগেই জন্মেছে তাই তাকে রাখতে হয়েছে বিশেষ যত্নে সাথে দিয়াকেও অবলম্বন করতে হয়েছে বিভিন্ন সাবধানতা।
দিয়া জানিয়েছেন, বেশ কিছু সমস্যার কারণে সি-সেকশনের মাধ্যমে সময়ের আগেই জন্ম হয়েছে তাঁদের পুত্রসন্তান আভায়ন আজাদ রেখির। দিয়া জানিয়েছেন মা হাওর পর কি ঝড় বয়ে গেছে তার উপর দিয়ে । আভায়নকে ‘মিরাকল বেবি’ বলে উল্লেখ করে দিয়া লিখেছেন, আভায়ন প্রি-ম্যাচিওর বেবি হওয়ার কারণে তাকে এই মুহূর্তে নিওন্যাটাল আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে।পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সরা সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছেন অভয়নকে সুস্থ করে তোলার জন্য। গর্ভাবস্থায় দিয়ার শরীরে মারাত্মক ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের ফলে সেপসিস-এর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে সি-সেকশনের মাধ্যমে নিরাপদে আভায়নকে দিয়ার শরীর থেকে বার করে নেওয়া হয়। এই কঠিন সময়ে অভয়নের মুখের দিকে তাকিয়ে লড়াই করার শক্তি পেয়েছেন দিয়া। দিয়া লিখেছেন, একরত্তি আভায়নকে কোলে নেওয়ার জন্য তার দিদি সামাইরা ও পুরো পরিবার অপেক্ষায় রয়েছে।
View this post on Instagram