বিনোদন

মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মিমি, এক সময় ৩ হাজার টাকায় গোটা মাস কাটাতে হতো অভিনেত্রীকে

অতীতে রক্ষণশীল ভাবমূর্তি থাকার কারণে অনেক পরিবারের লোকেরাই চাইতো না তাদের মেয়ে অভিনয় জগতে পা রাখুক। আর এখন সিনেমা ও ওয়েবসিরিজে ঘনিষ্ট যৌন দৃশ্য ও চুমু থাকলেও এখন বাড়ির মা -বাবা রা মেয়ের অভিনয় জগতে পা রাখা নিয়ে আপত্তি করে না। আর এরকমই অতীত পটভূমি থেকেই শুরু টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর যাত্রাপথ।

কারণ মিমি চক্রবর্তীর পরিবার ছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে -মেয়েরা অভিনয় শিল্পে যাবে তা ছিল কল্পনার অতীত। তবুও অনেক ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রথা ভেঙে প্রতিকূলতা জয় করে পা রেখেছেন অভিনয় জগতে। যার অন্যতম উদাহরণ হলো টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।

মিমি অভিনয় জগতে পা রেখেছেন উত্তরবঙ্গের জেলা জলপাইগুড়ির এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। সম্প্রতি বাংলা সিনেমার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী হইচই’ টিভিকে জানিয়েছেন তার অভিনেত্রী হিসেবে উঠে আসার কাহিনী।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Mimi (@mimichakraborty)

মিমি সেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘ ‘১১ বছর হয়ে গেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হব। একা লড়াই করেছিলাম এই জায়গাটায় আসার জন্য। প্রথমে মিথ্যা কথা বলে এসেছি, বলেছিলাম পড়াশোনা করতে যাচ্ছি কলকাতায়। ৩ হাজার টাকা বাড়ি থেকে পাঠাতো। সেটা দিয়ে পিজির ভাড়া দেব কী? খাব কী? নতুন জামা কিনব কী? অডিশনে কী করে যাব! হতো না। এক বছর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সবকিছু গোছালাম। প্রথমে মডেলিংয়ে সুযোগ পাই, তারপর সিরিয়াল, তারপর ফিল্ম।’

সম্প্রতি মিমি চক্রবর্তী ‘ড্রাকুলা স্যার’ নামক সিনেমায় ‌‘মঞ্জরী’-নামক চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি সেই চরিত্র স্পম্পর্কে বলেন ‘‘আমি এখন এমন শক্তিশালী চরিত্রই বেছে নেয়ার চেষ্টা করি। আমার এতদিনের সমস্ত চরিত্রগুলোর থেকে মঞ্জরী একটা লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র। সে হয়ত যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে পারেনি। যুদ্ধটা চালিয়ে গেছে। আদর্শের জন্য, ভালোবাসার জন্য।’

Back to top button