বিনোদন

কপালে সিঁদুর, গলায় মালা পরে একসাথে মন্দিরে পুজো দিলেন মদন-শ্যামা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙ্গ করলেন জনতা

‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিয়াশা রায়। অভনয়ের মাধ্যমে করেছেন বাজিমাত। মন জয় করেছেন হাজার হাজার দর্শকের। এবারে গলায় মালা, মুখে চওড়া হাসি, কপালে লাল সিঁদুর, এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে আসছেন শ্যামা ও মদন মিত্র। একসঙ্গে পাশাপাশি বসেই পুক দিয়েছেন। তারপর ক্যামেরার সামনে দুজনেও গটগট করে হেটে আসছেন। দুজনের মুখেই হাসির ছটা।

যা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। মদন মিত্র নারদা কাণ্ডে জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি কঠিন মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে যান তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। তারপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আবার স্বমহিমায় ফিরলেন মদন মিত্র। এখন তিনি আবার কাজে নেমে গিয়েছেন। মানুষের সেবায় কাজে নেমেছেন, হাসছেন, গাইছেন, এমনকি হাসতে হাসতে বলছেন, “আবার সুস্থ হয়ে গিয়েছি”।

সুস্থ হওয়ার পর এই রবিবার ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের শ্যামা ওরফে তিয়াশাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন মন্দিরে পুজো দিতে। বেলঘড়িয়ার খাটু শ্যাম মন্দিরে পুজো দেন। এদিন পুজো দেওয়ার পর মদন মিত্র ত্রাণ বিলি করেন। সেখানে তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের শ্যামা ওরফে তিয়াশা রায়।

এদিন মদন শ্যামার এই কান্ডকারখানা দেখে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই ব্যাপার নিয়ে অনেক ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট করেন। নানারকম কমেন্ট উঠে আসে ছবিগুলি ঘিরে। তারপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মদন মিত্র। তিনি রেগে গিয়ে বলেন হ্যাঁ, আর সহ্য নয়। এবারে যাবতীয় কটাক্ষ এবং বিদ্রুপের জবাব দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। ফেসবুক লাইভ এসে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন,“ফুর্তি আমি মারতে যাইনি।” তারপরেই বলেন যারা নিন্দা করছেন একটু ভেবে চিন্তে যেন করেন। কারণ করোনার এই সময় জনপ্রতিনিধি বাড়িতে বসে থাকতে পারেন না। এরপরেই বলেন, “লক্ষ্মণ যদি শক্তিশেলের ঘা খেয়ে উঠে দাঁড়াতে পারে তাহলে আমি নয় কেন?” তারপরেই তিনি শিল্পী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন,’স্টুডিওপাড়ার কিছু শিল্পী নিজেদের সাত দিনের বেতন দান করেছেন ‘ইয়াস’ পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য। এদের মধ্যে কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের শ্যামা রয়েছে। রয়েছেন বিভান, পায়েল, শ্রীতমা, দিগন্ত, নীল, তৃণা, মানসীর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাই তাদের উদ্যোগে খুশি জনতা। সেই কারণেই তাদের নানান জায়গায় নিয়ে যাওয়া।

Back to top button