টিভির পর্দায় কোনো ধারাবাহিক কতটা দীর্ঘ স্থায়ী হবে তা নির্ভর করে কাহিনীর ওপর। কোনো জনপ্রিয় জুটি অভিনয় করলেই যে ধারাবাহিক হিট হয়ে যাবে এমনটা মোটেই নয়। ধারাবাহিকের গল্প ভালো হলে তা জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছতে বেশি সময় লাগে না। টেলি থেকেই বাংলা সিনেমায় সুযোগ পেয়েছে রাজদীপ, ইয়াস, ঋতাভরী, মধুমিতার মতো অনেক নায়ক নায়িকারা।
এই ধারাবাহিকের লেখিকাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন লীনা গাঙ্গুলী, নামটা অনেকেরই চেনা কারণ লেখিকাদের মধ্যে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়। ফেসবুকে ধারাবাহিকের গ্রুপগুলিতে তাকে ঘিরে অনেক কথাই হয়। বর্তমানে তাঁর লিখিত ‘গুড্ডি’ দেখা যাচ্ছে স্টার জলসায়। ধারাবাহিকটি দর্শকদের এত একটা পছন্দ হচ্ছে না, যার ফলে টিআরপির তালিকাতেও ভালো ফল করতে ব্যর্থ গুড্ডি।
এই ধারাবাহিকের অল্প কয়েকজন নিয়মিত দর্শক তারা ফেসবুক ফ্যান পেজ এ গুড্ডি-অনুজ-যুধাজিতকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে বেশ চর্চা করে।গুড্ডি আর অনুজের মধ্যে ভালোবাসা থাকার সত্ত্বেও যুধাজিৎ প্রেমে পড়েছে গুড্ডির।গল্পের শুরুতেই ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী দেখানোর কারণে বেশ চর্চার মুখে পড়েছিল এই ধারাবাহিকটি।লীনা গাঙ্গুলীর লিখিত অনেক গল্পই নাকি একই কাহিনী ।
ফেসবুক গ্রুপগুলিতে লেখিকার লেখার ধরণ নানান ধরণের কথা উঠেছিল।গুড্ডির নিয়মিত দর্শকদের ইচ্ছে ছিল যে যুধাজিতের সাথেই যেন গুড্ডির মিল হয়, আর লেখিকা দর্শকদের সেই দাবি মেনেও নিয়েছে। তবে গুড্ডির বিশ্বস্ততা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন । সেখানে এক ভক্ত লেখেন গুড্ডি কখনোই অনুজকে ভালোবাসেনি বরং অনুজ কে শুধু ব্যবহার করেছে সে। আবার অনেকে গুড্ডির পক্ষ নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন । গুড্ডি ভালোবাসতে চেয়েছিল অনুজকে, তবে অনুজের ব্যবহারের কারণে এই সম্পর্ক আর আগায়নি। ধারাবাহিককে অনেকে শেষ ঘোষণা করে দিলেও এখনো চর্চার মুখে এই ধারাবাহিক।
