বিনোদন

Khukumani: শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও দুর্দান্ত রান্না করেন খুকুমণি, নিজের হাতে মোচার ঘন্ট রেঁধে প্রমাণদিলেন নিজেই

স্টার জলসায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’। খুকুমণি চরিত্রটি নিজের হাতে রান্না করে হোম ডেলিভারি দিয়ে তাদের সংসার চালায়। সে অনাথ। থাকে তার মামা-মামীর কাছে। এহেন খুকুমণি এবার পৌঁছে গেল পপির কিচেনে রান্না করতে।

‘পপি’স কিচেন উইথ ভিলেজ ফুড’ একটি নামী ইউটিউব চ্যানেল। গৃহবধূ থেকে ক্রমশ ভ্লগার হয়ে উঠেছেন পপি। তাঁর স্বামী ক্যামেরায় তাঁর রান্নার ভিডিও শুট করেন। গ্রামের বধূ পপি গ্রামের তাজা শাক-সবজী, পুকুর থেকে ধরা মাছ দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি রেঁধে দেখান। একই সঙ্গে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করে খেয়ে দেখেন। তবে পপির রান্নাঘরে খুকুমণি পৌঁছাতেই পপি তাঁকে নিয়ে চলে গেলেন বাগানে মোচা কাটতে। খুকুমণির হাতে ধরিয়ে দিলেন কাটারি। হলুদ-লাল সালোয়ার কামিজ পরে সপ্রতিভ খুকুমণি পপির সঙ্গে যেতে যেতেই তাঁর হোম ডেলিভারির মেনু ও দাম আরও একবার বলে দিলেন। অনেক হাঁটার পর, অনেক কষ্ট করে নদীর ধারের কলাবাগান থেকে দুটো মোচা কাটলেন খুকুমণি। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন পপি।

নদী থেকে ধরা হল কই মাছ। পপি ও খুকুমণি দুজনে পৌঁছালেন রান্নাঘরে। এইটুকু সময়ের মধ্যেই পপির ‘দিদিভাই’ হয়ে উঠেছেন খুকুমণি। তিনি মোচা ছাড়ালেন ও কই মাছ বাছলেন পপি। মোচা ছাড়ানোর আগে নিজের হাতে ভালো করে সর্ষের তেল মেখে নিলেন ও বললেন সিরিয়ালেও তিনি এইভাবেই হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই রান্না করেন। একই সঙ্গে খুকুমণি সবাইকে শেখালেন মোচা কিভাবে কাটতে হবে। পপিও শেখালেন কই মাছ কাটা। মাটির উন্নত সম্পূর্ণ গ্রাম্য পদ্ধতিতে রান্না হল কুচোচিংড়ি দিয়ে মোচার ঘন্টার ও ছোট বেগুন দিয়ে তেল কই। সবই খুকুমণি নিজের হাতে রান্না করলেন। পপি সাহায্য করলেন। খুকুমণি বললেন, তিনি কোনোদিন ভাবেননি পপির কিচেনে এসে রান্না করবেন। অপরদিকে পপি তো খুকুমণির রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

চলে এলেন পপির দাদুও। খুকুমণির পাশে বসে তাঁর হাতের রান্না করা খাবার কলাপাতায় বেড়ে খেয়ে পপি ও দাদু দুজনেই খুব খুশি। খুকুমণি অভিভূত তাঁদের ভালোবাসায়। তিনি জানালেন, শুটিংয়ের ঘেরাটোপে থেকে তাঁরা বুঝতে পারেন না, দর্শক তাঁদের কিভাবে গ্রহণ করছেন। কিন্তু পপির কিচেনে এসে তিনি দেখলেন, তাঁকেও মানুষ এত ভালোবাসেন।

Back to top button