বিনোদন

রিয়ালিটি শো-এ প্রতিযোগীদের প্রশংসা কি সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য? শো-এর গোপন কীর্তি ফাঁস করলেন বিচারকরা নিজেই!

আজকালকার দিনে মানুষের মনোরঞ্জনের নানা মাধ্যম রয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেদের মত মনোরঞ্জন করতে ব্যাস্ত। হাতে একটি মোবাইল ফোন থাকলে আর কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই মনোরঞ্জনের দিনে। ধীরে ধীরে টেলিভিশন থেকে মানুষের আকর্ষণ কমে যাচ্ছে। তবে টেলিভিশনের রিয়ালিটি শো অনেকেরই জনপ্রিয়। কিন্তু রিয়ালিটি শো নিয়ে প্রথম থেকেই নানান বিতর্ক ছিল। কিছুদিন আগেই অমিত কুমার এই বিতর্ককে উস্কে দিয়ে বলেছেন, টাকা পেয়েছিলেন বলেই সোনি টিভির জনপ্রিয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ প্রতিযোগীদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তিনি জানান যে বাস্তবে তাদের গান তার ভালো লাগেনি।

জনপ্রিয় গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র বাংলার একটি রিয়ালিটি শো-এর বিচারক। তিনি জানিয়েছেন যে নিজের ইচ্ছে না থাকলেও শোয়ের খাতিরে অনেক কিছুই করতে হয়। তিনি মেকআপ করতে পছন্দ না করলেও ক্যামেরায় প্রেজেন্টেবল দেখানোর জন্য তাঁকেও মেকআপ করতেই হয়। পাশাপাশি চালানের কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় যে সবসময় পসিটিভ এনার্জি ধরে রাখতে হবে।

আরেকজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রাঘব চ্যাটার্জী বলেন, ‘প্রতিযোগীরা এত খেটে নিজেদের পারফরম্যান্স তৈরী করেন ফলে তাঁদের কড়া কথা বলা উচিত নয়। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ খারাপ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে বলেন না।’ কিন্তু গায়ক রূপঙ্কর বাগচী উল্টো কথা বলেছেন। তার কথায়, ‘কখনও প্রতিযোগীদের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি কড়া কথা বললে চ্যানেলের তরফে এডিট করে তা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।’

গায়িকা কৌশিকী চক্রবর্তী বলেছেন কোনো প্রতিযোগীকে পারফরম্যান্স নিয়ে রূঢ় কথা বলতে তাঁর রুচিতে বাধে। তবে চ্যানেলের তরফ থেকে কোনো নির্দেশ থাকে না বলে জানিয়েছেন কৌশিকি। কিন্তু কৌশিকি মনে করেন রিয়েলিটি শো কখনও কারও ভবিষ্যত গড়ে দেয় না। একটা সময় লতা মঙ্গেশকর নিজেই বলেছিলেন এই কথা। কিন্তু সুরকার জিৎ গাঙ্গুলী অন্য কথা বললেন। তাঁর মতে রিয়েলিটি শো একটা পরিচিতি দান করে। তার ফলে রিয়েলিটি শোয়ের প্রতিযোগীরা নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিজেদের প্রতিভা শোকেস করতে পারেন। জিৎ গাঙ্গুলি বহু প্রতিযোগীকে রিয়ালিটি শো-এ গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মেঘলা, জীমুত, পবনদীপ।

কিন্তু অনেকেরই মতামত যে রিয়ালিটি শো মানুষের পরিচয় গড়ে দেয়। আবার কারো মত হল যে এই শো-এ প্রতিযোগীরা নিজের টাকা দিয়ে নাম কিনে নেয়। কিন্তু জনপ্রিয় গায়ক অভিজিৎ সেন এক্ষেত্রে যথেষ্ট স্পষ্টবাদী। তিনি বলেন, দর্শককে ফাঁকি দেওয়া যায় না। বিচারকদের মতো তাঁরাও গান শুনছেন। বিচারকদের মধ্যে মতের অমিল হলে তারও টেলিকাস্ট করা হয়। বিচারকরা চুলচেরা বিচার করেন।

Back to top button