‘ইটিশ পিটিশ প্রেমে সাড়া দিলেন যুবতী’ কিন্তু শর্ত শুনে রেগে গেলেন অভিনেতা ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার কথা বললেন সরাসরি
বসন্ত এখন নয় ঠিকই কিন্তু, গাজী আব্দুন নূরের মনে বসন্ত এসেছে। তার একখান ইটিশ পিটিশ প্রেম করতে মন চায়। প্রেমের অবশ্য কোনো বয়স, সময় কিছুই হয়না, যখন হরমোন গুলো একটু নড়ে চড়ে ওঠে তখনই মনটা প্রেম প্রেম করে। মনে শিহরন জাগে, ইচ্ছে হয় কবিতা বলি বা গুনগুন করে গান বা হাতে হাত রেখে ঘোরা। অবশ্য এই সবগুলো স্টেপ নির্ভর করে প্রেমের গভীরতার উপর। যখন মনে ইটিশ পিটিশ প্রেম জাগে তখন এর দাওয়াই একটাই চটপট প্রেম করে নেওয়া। কিন্তু, এই প্রেমের নায়িকা কোথায়? অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর সেই নায়িকাকেই খুঁজছেন।
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের দৌলতে গাজী আব্দুন বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ এই বাংলায়। রাণীমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেইসময় তার অভিনয় মুগ্ধ হয় বাংলার দর্শক।
এই ব্যক্তির মনে এখন প্রেম জেগেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গদগদ পোস্ট তার। অথচ এই মানুষটি একদিন এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘২০১৫ তে ব্রেক আপের সময় নিজের হাতে মাথা মুড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেছি, সব করব প্রেম করব না। আর ওই পথ মাড়াই? যাচ্ছেতাই গিয়েছে দিনগুলো। কী ভাবে শুট করতাম আর তার পর কী ভাবে ভেঙে পড়তাম, বন্ধুরা জানেন।’’
প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনতেই ভুল করে ফেললেন এক অনুরাগী। তিনি এই রাজচন্দ্রের অনুরাগী। তার ইটিশ পিটিশ প্রেমের প্রস্তাবে ওই নেটিজেন বলেন, “মুসলিম না হয়ে হিন্দু হলে রাজি ছিলাম।” ব্যাস এতেই চটেছেন প্রেমিক রাজচন্দ্র ওরফে গাজী আব্দুন নূর। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রেম অনেক দূরের ব্যাপার।।। ওই মহিলাকে তিনি ফ্রেন্ড লিস্টে রাখতেই চান না।
প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে ভিন্ন ধর্মের মধ্যে প্রেম ও বিয়ে জলভাত। প্রায় ঘরেই এমনটা হয়ে আসছে। কারণ প্রেম দেখে না জাতি, বর্ণ, ধর্ম। কিন্তু, বাস্তব যে অন্য কথা বলে। ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করে কেউ কেউ যেমন সুখী অনেককেই হাঁটতে হয়েছে ধর্মান্তরের পথে। তাছাড়া দুটি ধর্মের মানুষের ঈশ্বর উপাসনা থেকে খাওয়া দাওয়া এবং জীবন যাপন অনেকটা ফারাক। অনেকে এই ফারাক মানিয়ে সংসার করেন, কেউ কেউ তলিয়ে যান গভীর জলে।