অতিরিক্ত ন্যাকামি, ঘ্যানঘ্যানে অভিনয়ে বিরক্ত দর্শকরা, দিন দিন কমছে ‘খড়কুটো’র টিআরপি
বাংলার জনপ্রিয় চ্যানেল ষ্টার জলসায় ‘খড়কুটো’ নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। একদিকে কিছু দর্শক যেমন এই ধারাবাহিকের গল্প, মজা, অভিনয় নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অপরদিকে এই একই সিরিয়ালে মূল নায়িকার ‘ন্যাকামি’ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
বেশ কয়েকমাস ধরেই স্বগৌরবে চলছে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি। আর শুরুর দিন থেকেই এই সিরিয়াল দর্শকদের বসিয়ে রাখছে টিভি স্ক্রিনের সামনে। প্রথাগত ভিলেন, চক্রান্ত, শাশুড়ি-বৌমার কূটকচালি, একাধিক বিয়ের কাহিনীকে দশ গোল দিয়ে সুখী যৌথ পরিবারের গল্প বলে চলেছে অনায়াসে। কিন্তু এখন গল্পের নায়িকা তৃণা সাহা ওরফে গুনগুন’কে নিয়ে উঠছে যত প্রশ্ন।
গুনাগুনের বাবা গুনগুনকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সৌজন্যের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে দেয়। গুনগুন শর্তে রাজি না হাওয়ায় করার বাবা তাকে ৩৬৫ দিনের জন্য বিয়ে করতে বলে এবং সেই সরতেই গুনগুন বিয়ে করতে রাজি হয়েও যায়। গুনগুন নিজের ব্যবহার দিয়ে বিয়ের আগেই শশুড়বাড়ির সকলের মন জয় করেছেন। সম্প্রতি খড়কুটো সিরিয়ালে গুনগুন ও সৌজন্যের মধ্যে দূর হয়েছে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি শশুড়বাড়ির সকলের প্রিয় বৌমা হয়ে উঠেছে গুনগুন।
গুনগুন এখন শশুরবাড়িতে ভালোই আছেন। দুজনে মিলে এখন সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যেই আবার পরিবারে আসলো সুখবর। গুনাগুনের বৌদিভাই অর্থাৎ মিষ্টির কোলজুড়ে সন্তান আসবে। আর এই কথা কিছুতেই বুঝতে পারছে না গুনগুন । গুনাগুনের এই চরিত্র কিছু দর্শকের ভালো লাগলেও। আবার কিছু দর্শক জানিয়েছেন, যাঁরা ধারাবাহিকটি লিখেছেন, যাঁরা সংলাপ লিখছেন তাঁরা সম্ভবত দর্শকদের নেহাতই শিশু ভাবছেন। অনেকটা ‘খড়কুটোর’ গুনগুণের মতো। রাজা দাস নামে এক ইউজার সম্প্রতি এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন করলেন।
তিনি লিখেছেন, ‘এই ধারাবাহিকে একজন বিশাল ডাক্তারের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া মেয়ে গুনগুন নিশ্চই প্রাপ্তবয়সে বিয়ে করেছে। সেই গুনগুন কি বোঝেনা বিয়ে কি? বাচ্চা কিভাবে হয়? সংলাপ লিখছেন তাঁরা সম্ভবত দর্শকদের নেহাতই শিশু ভাবছেন বলে জানান ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি এও জানান, আজ থেকে গত কয়েকমাস আগে আমার এক বন্ধুর কাছে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী বেশ প্রশংসা শুনি। এরপর আমি আর আমার স্ত্রী মাস খানেকের মতো বেশ মজা করেই এই ধারাবাহিকটি দেখেছি। কিন্তু গত কিছদিন ধরে যেন বেশ একঘেয়ামি লাগছে এই ধারাবাহিকটি। টিআরপি কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে এগুলোই। এবং কিছু অদ্ভুত দর্শক আছেন যারা কোন ভুল দেখতে পান না বা নেগেটিভ সমালোচনা পছন্দ করেন না।’
তবে কিছু দর্শক আবার বলেছেন, গুনগুণের এই বাচ্চা ভাব তাদের ভালো লাগছে। বেশ আনন্দ উপভোগ করছেন তারা। একজন ইউজার আবার লিখেছেন, ‘যাঁরা সংলাপ লিখছেন তাঁরা গুনগুণের চরিত্রটি সহজ, সরল বোকা,বড্ড ছেলেমানুষি আর, ওর এই innocence এর কারণেই কিন্তু বাবিন ওকে ভালোবেসে ফেলেছে। তবে এটা আমার কাছে কোনোভাবেই নেকামি বা একঘেয়ামি লাগে না। বরং অনেকটাই মজা লাগে। এবং মজা করে এই ধারাবাহিকটি দেখি।এমনকি আমার এও মনে হয়, এই চরিত্র তৃনা সাহা ছাড়া আর অন্য কোনো নায়িকা ভালো করে ফুটিয়ে তুলতে পারতো না।’
View this post on Instagram
View this post on Instagram