বিনোদন

বলিউডের একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও বৈবাহিক জীবনে সফল হতে পারেননি করিশ্মা কাপুর

বলিউড জগতের সেরা অভিনেত্রীদের তালিকায় রয়েছেন করিশ্মা কাপুর। ১৯৯১ সালে মাত্রা ১৭ বছর বয়সে তিনি অভিনয় জগতে পা রাখেন। তাঁর জীবনের প্রথম সিনেমা প্রেম কয়েদি। এরপর তিনি একের পর এক হিট ছবি আমাদের উপহার দিয়েছেন। করিশ্মা কাপুর অভিনীত কয়েকটি হিট সিনেমার মধ্যে অন্যতম হল-জিগড়, আনাড়ি, রাজা বাবু, কুলি নং ওয়ান, রাজা হিন্দুস্থানী আরো বহু সিনেমা তিনি করেছেন যেগুলি দর্শকদের মনে জায়গা করে আছে। কিন্তু বলিউডের রুপোলি পর্দার এই অভিনেত্রীকে আর সেরকম ভাবে সিনেমাতে দেখতে পাওয়া যায় না।

করিশ্মা কাপুর ও অভিষেক বচ্চন একসময় তাদের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বচ্চন ও কাপুর পরিবারের বন্ধন ঘটানোর জন্য করিশমা ও অভিষেকের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুই পরিবার। অপরদিকে অভিষেক তখন নবাগত কিন্তু করিশ্মা সফলতার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। বচ্চন পরিবারের থিওকে শর্ত দিয়ে বলা হয়েছিল যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি অভিষেকের সঙ্গে জয়েন্ট করতে হবে।এই শর্ত মানতে না পারায় তাদের বিয়ে হয়না।

করিশ্মা কাপুরের ক্যারিয়ার যখন সফলতার দিকে তখন হঠাৎই ২০০৩ সালে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন করিশ্মা। তার বাল্যকালের বন্ধু সঞ্জয় কাপুর-কে বিয়ে করেন।কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্ক সফল হয়নি। সঞ্জয় প্রথমে করিশ্মার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেও হানিমুনে গিয়ে সঞ্জয়ের স্বরূপ প্রকাশ পায়। করিশমাকে অবাক করে দিয়ে সঞ্জয় বন্ধুদের নিয়ে হানিমুনে গিয়েছিলেন। সঞ্জয়ের দাদাও তার সঙ্গে গিয়েছিলেন। পরে করিশ্মা বুঝতে পারেন যে হানিমুনের নামে নীলামে ওঠানোর ফাঁদ। হানিমুনের রাতে বন্ধুদের সাথে রীতিমতো দর কষাকষি করে করিশ্মাকে নীলামে তোলেন সঞ্জয়। সেই রাত ও তারপরেও বহু রাত সঞ্জয়ের বন্ধুদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য হন করিশ্মা।

সেইসময় খুবই কয়হীন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় করিশ্মাকে। সঞ্জয়ের দাদা করিশ্মাকে নজরবন্দি করে রেখেছিলেন। করিশ্মা প্রতিবাদ করলেই তাঁর কপালে জুটত মার। একসময় গর্ভবতী হয়ে পড়েন করিশ্মা।তাদের মধ্যে জন্ম নেয় তাদের মেয়ে সামাইরা। সামাইরাকে নিয়ে করিশ্মা বাবা-মায়ের কাছে ফিরে এসে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সঞ্জয় তার কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে বলেন অন্তত সামাইরার দিকে তাকিয়ে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তারপর আবার ফিরে যান সঞ্জয়ের কাছে কিন্তু কিছুদিন পর তাদের মধ্যে জন্ম করিশ্মার পুত্রসন্তান । তারপর করিশ্মার ওপর শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়। তারপর হঠাৎ করে এক রাতে সঞ্জয় অতিরিক্ত মদ্যপান করলে করিশ্মা তার গাড়ির চাবি নিয়ে দুই সন্তানসহ একাই সোজা মুম্বাইয়ে তার বাবার কাছে চলে আসেন। এরপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর আর ফিরে যাননি করিশ্মা।

Back to top button