গাঢ় নীল পোশাকে যথেষ্ট মডার্ন লুকে ফটোশ্যুট শ্যামার, ‘মদন দা কই?’ কটাক্ষ করে প্রশ্ন নেটিজেনদের
শ্যামা ধারাবাহিকে বাঙালি বধূর সাজে একদম ঘরোয়া বউ। রিয়েল লাইফে শ্যামা বিবাহিত। তার স্বামী সাবান ও তার শশুর বাড়ির লোককে নিয়ে তার সুখের সংসার। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই নিজের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীর উদযাপনের সমস্ত ছবি সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেননি শ্যামা। টলিউডে তিয়াসা ও সুবানকে সকলে লাভ বার্ডসও বলে ডাকে।তাঁকে ‘কৃষ্ণকলি’ শ্যামার রূপে দেখতে সবাই অভ্যস্ত হলেও তিয়াসা বারবার ছক ভেঙে দিতে ভালোবাসেন।এবারে মজেছেন গাঢ় নীল রঙের গাউনে। স্লিভলেস, বক্ষ বিভাজিকা স্পষ্ট, সারা শরীর জুড়ে শুধুই উষ্ণ আবেদন, অথচ ঠোঁটে হাসি। আবার ক্যাপশনে লিখেছেন, হাসিটাও একটা ফ্যাশন।
টলিউডের শ্যামার জনপ্রিয়তা বর্তমান তুঙ্গে। তাছাড়া এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিয়াশা রায় ও মদন মিত্রকে জুটি বেঁধে প্রচার কার্যে দেখা গিয়েছে।কখনো এ পাড়া তো কখনো ওপাড়া, কখনো দক্ষিণেশ্বর মন্দির, তো কখনো সোনাগাছির দুর্গোৎসবের খুঁটি পুজো। খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল মদন শ্যামার জুটি। কিন্তু এবারে পর্দায় শ্যামা শাড়ি, ফুল স্লিভ ব্লাউজ পড়লেও বাস্তবে যথেষ্ট মডার্ন এবং দিন দিন গ্ল্যামার ঠিকরে বেরোচ্ছে। প্রায় সময় বোল্ড ফটোশ্যুট করাচ্ছেন তিনি। আর মদন মিত্রের সাথে বেশি মেলামেশার কারণেই শ্যামা ওরফে তিয়াশা রায়ের ফটোশ্যুটের নিচে কমেন্টের প্রথম প্রশ্ন “মদন দা কই”?
View this post on Instagram
বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন তিয়াসা রায়। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন অভিনেত্রী। তার লুকে মুগ্ধ সকল দর্শক। টেলিভিশনের মিষ্টি মেয়ে হিসেবেই সকলে জানে। শ্যামা যেমন কীর্তন গাইতে পারে তার পাশাপাশি অভিনেত্রী ঢেউখেলানো চুল, লাল লিপস্টিক, আটপৌরে শাড়ি, কীর্তন গান আর মিষ্টি স্বভাব সবই যেন শ্যামার চরিত্রের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়।
কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের সে একজন শান্ত ও ভদ্র চরিত্র। সে বর্তমানে ধারাবাহিকে একজন ১৮ বছরের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সে শ্বাশুড়ি এই মুহূর্তে সিরিয়ালের নায়িকা শ্যামা এখন প্রৌঢ়া। সিরিয়ালে প্রবেশ করেছে শ্যামা ও নিখিলের একমাত্র মেয়ে কৃষ্ণা। তার মেয়ে কৃষ্ণাও শ্যামার মত ভোজনগীতি গাইতে পারে। কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিয়াসা টেলিভিশনে অভিষেক করেন। প্রথম ধারাবাহিকের মাধ্যমেই সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।
