বলিউড মুভি মানে হিরো হিরোইন (বলিউড কাপল) মাখো মাখো প্রেম। চলচ্চিত্রের সাফল্য মূলত অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের মধ্যে অন-স্ক্রিন রসায়নের উপর নির্ভর করে। আমরা প্রায়ই শুনি যে তারকারা একসঙ্গে ছবি তোলার সময় বিভ্রান্ত হন। আবার, সম্পর্ক প্রায়ই তলানিতে আটকে যায়। বন্ধুত্ব হারিয়ে ঘৃণার রূপ নেয়। আজকের প্রতিবেদনটি 10 জন বলিউড তারকার নামের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে যাদের অন-স্ক্রিন রসায়ন সত্যিকারের হিট হয়ে উঠেছে। তবে বাস্তব জীবনে একে অপরকে একেবারেই সহ্য করতে পারেন না তাঁরা।
কারিনা কাপুর খান ও শাহিদ কাপুর- কারিনা ও শহিদ একসময় প্রেমে পড়েছিলেন কিনা তা অজানা। প্রায় 4 বছর ধরে তাদের সম্পর্কে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ভেঙে যায় এই সম্পর্ক। তারপর থেকে এই দুই তারকা একে অপরকে ব্যক্তিগতভাবে দেখেননি।
শাহরুখ খান এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন শাহরুখ খান এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন দেবদাস, মহব্বতে-এর মতো বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁদের জুটি দারুণ পছন্দ ছিল দর্শকদের। শাহরুখ-ঐশ্বর্য আছে মানেই সেই ছবি হিট- একসময় এই ধারণা কাজ করতো মানুষের মধ্যে। তবে শাহরুখের পরপর পাঁচটি সিনেমা থেকে ঐশ্বরিয়াকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব ভেঙে যায়।
রানি মুখার্জি এবং সাইফ আলি খান – সাইফ ও রানি বলিউডের বেশ কয়েকটি হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অন-স্ক্রিন রসায়ন দর্শকদের মন জয় করেছে। তবে গুঞ্জন ছিল এই দুই তারকা একে অপরকে বিশেষ পছন্দ করেন না। রানি সাইফকে “একঘেয়ে” বলে মনে করেছেন এবং সাইফ রানিকে “অধৈর্য” বলেছেন। যাইহোক, সব দ্বন্দ্ব মিটে যাওয়ার পর বান্টি অর বাবলি 2-তে তারা আবার একসঙ্গে কাজ করেন।
সোনম কাপুর ও অভয় দেওল-আয়েশা, রঞ্জনা-তে সোনম ও অভয়ের রসায়ন সবার নজর কেড়েছে। তবে ‘আয়শা’ ছবির ব্যর্থতায় অভয় আসতে পারেননি। এরপর থেকে এই দুই তারকাকে একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
ইমরান হাশমি ও মল্লিকা শেরাওয়াত-দ্য অ্যাসাসিনেশনে ইমরান হাশমি এবং মল্লিকা শেরাওয়াতের মধ্যে উত্তাল রসায়ন দর্শকদের ঘামে ফেলেছিল। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল এই ছবি।
যাইহোক, ‘মার্ডার’ রিলিজ করার বহু বছর পর ইমরান বলেছিলেন, মল্লিকা নাকি একেবারেই ভালো চুম্বন করতে পারেন না। এই বক্তব্য মোটেও পছন্দ করেননি অভিনেত্রী।
