বিনোদন

আমিরের দেহরক্ষী ছিলেন কেডি পাঠক, অভিনেতা নিজেই জানালেন তার পুরোনো কথা

সকলের কাছে তিনি কেডি পাঠক নামেই বেশি পরিচিত। টিভিতে যারা নিয়মিত সিরিয়াল দেখেন তাদের কাছে এই চরিত্রটি খুবই জনপ্রিয়। আর এই কেডি পাঠকের চরিত্রে যে বুদ্ধিমান এক আইনজীবী অভিনয় করেন তার আসল নাম রণিত রায়।

তিনি তুলে ধরলেন তার পুরোনো দিনের কিছু কথা। আর সেই কোথায় জানা গেলো যে তিনি একসময় আমির খানের দেহরক্ষী ছিলেন। আর সেই দেহরক্ষী আজ বিখ্যাত এক টিভি ও সিনেমার তারকা।

ভারতের জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলোর মধ্যে অন্যতম সিরিয়াল হলো ‘আদালত’।আর এই আদালত সিনেমার চরিত্র অভিনেতা কেডি পাঠকের নাম এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। হিন্দি ও বাংলায় প্রচারিত এই সিরিয়াল শুধু ভারতেই নয় নিয়মিত দেখা হয় বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দি ও বাংলা ভাষার দর্শকদের কাছে।

সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘আমার সৌভাগ্য যে আমির খানের সঙ্গে বছর কাটিয়েছি। আমি তার দেহরক্ষী ছিলাম। আমি একটি কোম্পানি শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার কোনো কাজ ছিল না। আমাকে কিছু একটা করতেই হবে। আমি খুব সৌভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আমির খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করেছি। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। এখনো শিখেই যাচ্ছি।

রণিত রায় আরো বলেন , ‘আমি সব সময়ই তারকা হতে চেয়েছি। মুম্বাইয়ে আসি এ চিন্তা নিয়েই। আমি চেয়েছি আমি বড় গাড়ি কিনব। মেয়েরা আমরা নাম ধরে চিৎকার করবে, ঠিক এখন যেমনটি হয়। যখন আমি ব্যর্থ হয়েছি, পরে ভালো কিছু হয়েছে।

বলিউডে বর্তমান চর্চার বিষয় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু প্রসঙ্গে রনিত রায় বলেন, ‘নিজেকে শেষ করে দেয়া কোনো সমাধান নয়। ১৯৯২ সালে আমার প্রথম ছবি ‘জান তেরে নাম’ মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি সুপার হিট হয়। আজকালকার দিনের ১০০ কোটি টাকার ছবি। প্রথম ছবি এই স্তরের ছিল। তার পর আচমকাই ৬ মাস কোনো কাজ পাইনি। বেশ কিছু ছোটখাটো কাজ করেছিলাম সেই সময়। প্রায় ৩ বছর ধরে সেগুলোই করে গিয়েছি। ৯৬ সাল পর্যন্ত।’

ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় চরিত্র কেডি পাঠকের জন্ম হয় ১৯৬৫ সালের ১১ অক্টোবর। তার বাবা ছিলেন নাগপুরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাইয়ের নাম রোহিত রায়। তার বাল্যকাল কেটেছে আহমেদাবাদ ও গুজরাটে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২০০৩ সালের ২৫ সে ডিসেম্বর বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী নিলাম সিং কে। বর্তমানে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

Back to top button