বরাবর গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষের শিকার এবারে ‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস
ষ্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’। এই ধারাবাহিকে ‘নোয়া’র চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। এর আগে তিনি ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সেখান থেকে ‘দেশের মাটি’। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সকলের পরিচিত হয়ে ওঠে নোয়া ওরফে শ্রুতি দাস। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। এখন সুস্থ আছেন। শ্রুতির অভিনয়, গানের গলা, নাচ সবই ভালো করে রপ্ত করেছেন। নিজের দক্ষতায় টলিপাড়াতে বেশ জনপ্রিয় ।
কিন্তু অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তিনি বারবার ট্রোলের মুখোমুখিও হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। প্রায়দিনই অচেনা অচেনা কিছু কুরুচিকর ব্যক্তিদের নানান কুমন্তব্য শুনতে হয় অভিনেত্রীকে, তবে এই মানুষদের নোংরা মানসিকতার সঙ্গে এখন অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছেন শ্রুতি। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে সহবাস করা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন শুভজিৎ নামের এক জনৈক ব্যক্তি। ওই ব্যাক্তির প্রশ্নের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এই গায়ের রং নিয়ে নিয়মিত কটাক্ষের শিকার হাওয়ায় অভিনেত্রী শ্রুতি আইনের দ্বারস্ত হয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রুতি বলেন, তাঁরা পাবলিক এন্টারটেইনার। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য, অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য। কিন্তু এর অর্থ সহজলভ্য হয়ে যাওয়া নয়।শ্রুতি বলেন, অনেক দিন আগেই তাঁর আইনের দ্বারস্থ হওয়া উচিত ছিল। কারণ এটা সাইবার ক্রাইম এবং এই ধরনের ক্রাইমের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন শ্রুতি।
আবার অপরদিকে ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে শ্যামা’র গায়ের রং কালো। কিন্তু তার বিষয়ে কোনোরকম নেগেটিভ কমেন্ট আসেনি। শ্রুতিও মনে করেন, এই ধরনের ধারাবাহিক বানানো সমাজের পক্ষে খুব ভালো উদ্যোগ। তবে শ্রুতি বলেছেন, শ্যামার চরিত্রাভিনেত্রী তিয়াশা ফর্সা।কিন্তু তার চরিত্রের জন্য তাকে মেকআপের সাহায্যে কালো বানানো হয়েছে। তাই তিয়াশা আক্রমণের শিকার হন না বলার পর শ্রুতি নিজেকে ‘কালো বস্তু’ বলেছেন। শ্রুতিকে নেটিজেনদের একাংশ ব্ল্যাকবোর্ড বলে ডেকেছেন। পাশাপাশি স্বর্ণেন্দুর সাথে সম্পর্কের জেরে নাকি সে কাজ পাচ্ছে এই নিয়েও সমালোচিত হন শ্রুতি। এমনকি একদল নেটিজেন ‘দেশের মাটি’ -তে শ্রুতিকে সরিয়ে রুকমাকে নায়িকা করার দাবি জানিয়েছিলেন।
View this post on Instagram
