পায়েলের মৃত্যুর ৪ বছর পর একি জানালেন মৌসুমী চ্যাটার্জি! বিস্তারিত জানতে পড়ুন
শুধু টলিউড নয়, বলিউডেও রাজত্ব করেছেন মৌসুমী চ্যাটার্জি। তার অসামান্য অভিনয় দিয়ে কোটি দর্শকের মন জয় করে নেন তিনি। 1967 সালে বালিকা বধু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই অভিনেত্রী ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাননি। একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
প্রবীণ অভিনেত্রীকে শেষ দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত পিকু ছবিতে। এরপর থেকে তাকে আর বড় পর্দায় দেখা যায়নি। তবে ইদানীং বেশ কয়েকবার শিরোনাম হয়েছে। সম্প্রতি তার মেয়ে পায়েলের অকাল মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন মৌসুমী।
মৌসুমী-কন্যা 2019 সালে 45 বছর বয়সে মারা যান। জানা যায়, তিনি ছোটবেলা থেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। 2017 সাল থেকে পায়েলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপরে তিনি 2018 সালে কোমায় চলে যান। তারপরে তার স্বামী ডিকি সিনহা, একজন পোশাক ব্যবসায়ী, মৌসুমীর সাথে সমস্যায় পড়ে পায়েলকে বাড়িতে নিয়ে যান।
শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেনি পায়েল। 2019 সালের ডিসেম্বরে, তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। স্ত্রীকে হারিয়ে ডিকি তার শাশুড়ির দিকে আঙুল তুলেছিল। বলা হয়, অভিনেত্রীর সঙ্গে পায়েলের আত্মীয়দের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। আদালতে গেলে তিনি তার মেয়ের হেফাজত চান।
পায়েলের মৃত্যুর পর তার স্বামী ডিকি জানান, তাদের মেয়ের মৃত্যুর পর মৌসুমী শেষবারের মতো তাকে দেখতে যাননি। যদিও তার শ্বশুর ও পুত্রবধূ মেঘা উপস্থিত ছিলেন। আর এতেই তার জামাই মৌসুমীর ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। “ওগো বধূ সুন্দরী” অভিনেত্রী নিজেই সম্প্রতি একটি সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
মৌসুমী বলেন, আল্লাহ আমাকে না চেয়ে অনেক কিছু দিয়েছেন। মাঝে মাঝে আবার নিয়েও নিতাম। আমি আমার মেয়েকে উন্মুক্ত বাহুতে ঈশ্বরের হাতে তুলে দিলাম। তবে আমি এর জন্য কষ্ট পাই না, আমি খুশি। কারণ প্রতিদিন অনেক অভিভাবক তাদের সন্তান হারাচ্ছেন। পাইন বাবা-মা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের দিন কাটায়। আমি তার কথা ভেবে শক্ত থাকতে পারতাম।