হকারি করে চলেছে সংসার, ছেলের ক্যান্সারেও জনির পাশে দাঁড়ায়নি বলিউড, জেনেনিন তার জীবন কাহিনী
জনি লিভার হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। তিনি বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন এবং তিনি ৩০০-টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
জনি লিভার ১৯৫৭ সালের ১৪ অগস্ট মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন কারখানার শ্রমিক ছিলেন এবং তার মা একজন গৃহিণী ছিলেন। জনি লিভারের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিল এবং তিনি খুব কষ্ট করে বেড়ে উঠেছেন।
জনি লিভার মাত্র ১৪ বছর বয়সে রাস্তার ধারে প্যান্ট বিক্রি করে তার প্রথম রোজগার শুরু করেন। তিনি তারকাদের গলা নকল করে প্যান্ট বিক্রি করতেন এবং এতে তিনি খুবই সফল হন।
জনি লিভার ১৮ বছর বয়সে তার বাবার কারখানায় কাজ করতে শুরু করেন। তিনি সেখানে মিমিক্রি করতেন এবং এতে তিনি খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার সহকর্মীরা তাকে “জনি লিভার” নামে ডাকতেন এবং এই নামটিই তার পেশাদার নাম হয়ে ওঠে।
জনি লিভার ১৯৮০ সালে দক্ষিণী পরিচালক কে বিজয়নের “ইয়ে রিস্তা না টুটে” ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এই ছবিটি খুবই সফল হয় এবং জনি লিভার বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে ওঠেন।
জনি লিভারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে “বাজিগর”, “আন্দাজ”, “আশিকি”, “সাজন”, “কুছ কুছ হোতা হ্যায়”, “কাল হো না হো”, “কভি খুশি কভি গম”, “মোহাব্বতেইন” এবং “করমা”। তিনি এই ছবিগুলিতে তার কৌতুক অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
জনি লিভার একজন সফল অভিনেতা হলেও তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তার পুত্র জেসিকে কর্কট রোগ ধরা পড়েছিল এবং ২০০২ সালে তিনি নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ঘটনার পর জনি লিভার ধর্মে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং তিনি এখন বাইবেল পাঠ করে সময় কাটান।
জনি লিভার বর্তমানে বলিউডে খুব কম ছবিতে অভিনয় করছেন। তিনি এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠান করে উপার্জন করেন।