বিনোদন

নতুন বউয়ের গয়না হাতানোর ফন্দি! অতঃপর ‘কুটনি শাশুড়ি’র মুখে ঝামা ঘষে দিলো শিমূল

জি বাংলার পর্দায় সবেমাত্র নতুন বাংলা সিরিজ‘কার কাছে কই মনের কথা’র যাত্রা শুরু করেছে। সিরিজের শুরু থেকেই গল্পটি আবর্তিত হয়েছে শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যেকার দ্বন্দ্বকে ঘিরে। নতুন বউ শিমুল বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে ফেরার পর থেকেই শাশুড়ির হাতে নির্যাতিত হয়। এমনকি তার শাশুড়িও তাকে তার বাপের বাড়ির কথা বলে। তবে শিমুল নীরব বধূ নয়। তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানেন।

হু ইজ ইন দ্য হার্ট অফ দ্য মাইন্ড সিনেমার ফুলশয্যার দৃশ্য ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। সেখানে শিমুলের শাশুড়িকে তার নববধূকে বিদায় করে ডাবল বেডে ছেলের সঙ্গে ঘুমাতে দেখা যায়। অসুস্থ হওয়ার ভান করে সে শিমুল ও তার স্বামী পরাগের ফুলের বিছানা নষ্ট করে দেয়। এ দৃশ্য দেখে কয়েকজন দর্শক ধারাবাহিক বর্জনের ডাক দেন। তবে এসবের মাঝেও শিমুলের প্রতিবাদী নির্যাস সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।

শাশুড়ি ষড়যন্ত্র করে বৃদ্ধাকে কোলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলেও শিমুলের অসদাচরণের সঙ্গে মিটমাট হয়নি। শিমুল শাশুড়ির বাড়িতে আসার পর থেকেই শাশুড়ি আর চুচুতে দেওর পলাশকে ছাড়াই তার সঙ্গে হুতিনাটি লেগেই ছিল। শিমুলের শাশুড়ি, যেমনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছিল, বিয়ের তত্ত্বের সমালোচনা শুরু করলে শিমুল উঠে পড়ে।

একই সময়ে, ব্রডসওয়ার্ডও প্রতিক্রিয়া হিসাবে বন্ধ করা উচিত। ব্রডসওয়ার্ড তার শাশুড়ির বাড়ি থেকে 40,000 টাকা মূল্যের একটি ঘড়ি লক্ষ্য করে। বুঝতে না পেরে সে তার দাদার কাছে পাঠানো ঘড়ির দিকে তাকাল। কিন্তু শিমুল তাকে কিছুতেই দেবে না। কারণ শিমুলের বাবা তার হবু জামাইয়ের জন্য কিনে গিয়েছিলেন।

একইভাবে গয়না হারানোর জন্য শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন শিমুল। বিয়ের পরপরই শিমুলার শাশুড়ি বউমার গয়না বিক্রি শুরু করেন। শিমুল বিয়েতে যা পেয়েছে তার কিছু ননদ এবং হবু জাকে যেন উপহার হিসেবে দেয়। শিমূল একথা মেনে নেয়।

কিন্তু এরপরেই শিমূলের শাশুড়ি বলেন, শিমূলের সকল গয়না তার কাছে গচ্ছিত রেখে দিতে। কিন্তু শিমূল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, সে জানায়, নিজের স্ত্রীধন সে কিছুতেই হাতছাড়া করবে না। এমনকি পরাগ তার মায়ের পক্ষে কথা বলতে এলে শিমুল তাকে চুপ করে দেয়। নায়িকার বিদ্রোহী স্বভাব দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা। শাশুড়ির চরিত্রেরও সমালোচনা করেন তারা।

Back to top button