
চাল চুরির অপবাদ দিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার করা হল রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আইনাল হক-কে। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে এক প্রধান শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মঙ্গলবার সকালে বাবুলতলি খলিলুর রহমান বিদ্যা নিকেতন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সিংহ রায়-এর ঝুলন্ত দেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপরই তার স্ত্রী পলি সিংহ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
কী ঘটেছিল?
নিহত শিক্ষকের স্ত্রী পলি সিংহ রায় অভিযোগ করেন, “স্কুল পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে তার স্বামীর ওপর ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। বারবার আমার স্বামীকে হুমকি দিচ্ছিল যে, বিনা কারণে ফাঁসিয়ে দেবে, তাকে চোর প্রমাণ করবে। যদি ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, তবেই তাকে মুক্তি দেবে। এই চাপের কারণে আমার স্বামী ভীষণরকম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। চাল চুরির ঘটনার পর থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছিল।”
এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত আইনাল হকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮, ৩৫১, এবং ৩৫২ ধারায় মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করে।
সরব বিরোধী দল
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের এনকাউন্টার করা উচিত। তিনি বলেন, একজন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কীভাবে তৃণমূলের এক সামান্য নেতা চাপ তৈরি করতে পারে? এর দায় তৃণমূলকে নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাড়ায় সমাধান, একটাই সমাধান, তৃণমূলকে সরাতে হবে।”