Train Accident: দুই বৌমা ও এক ছেলের খোঁজ মেলেনি এখনো, শোকে বাংলার কর্মকার পরিবার

শুক্রবার সকালে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনের ৫ নম্বর আনন্দপুর গ্রাম থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠে অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্যেশে রওনা দিয়েছিলো একই পরিবারের ৪ জন। তাদের নাম হলো চঞ্চলা কর্মকারের ভাই রঞ্জন কর্মকার, তার ছেলে সনৎ কর্মকার, দুই বৌমা শ্যামলী ও কোনটা কর্মকার।
দুর্ঘটনার পর থেকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করতে পারেনি বাড়ির লোক। কেবল মাত্র তার ভাই রঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তার পায়ে মারাত্বক ছোট লেগেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় 280 জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২৮৮ জনের মরদেহ ও অন্তত ৯০০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ।আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের সেক্রেটারি-জেনারেল প্রদীপ জেনা এএফপিকে বলেছেন যে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য 200 টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতাগামী হাই-স্পিড বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছে। কুমন্ডেল চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঐ এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই মারাত্মক ছিল যে করমন্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।