নিউজ

Cyclone: অতিপ্রবল রূপে আসছে ‘বিপর্যয়’, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে বাড়ছে আতঙ্ক

পাকিস্তান ও ভারতের উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। এটি এখন অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় দুই প্রতিবেশী দেশই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় উপকূলীয় এলাকায় নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।
জানা যায়, আরব সাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ১৯০ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ধেয়ে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান উপকূলের দিকে।

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব বেশি পড়বে ভারতীয় উপকূলে। আগামী ১৫ জুন তারিখের মধ্যে ভারতের উপকূলের আরো কাছে চলে আসবে এই ঝড়। এরই মধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে ‘অতি শক্তিশালী’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এ আবহে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময় ও স্থানের আপডেট দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।

এদিকে পাকিস্তান সরকারও সিন্ধু ও বালুচিস্তান প্রদেশে সতর্কতা জারি করেছে। দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিন্ধু প্রদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশে দমকা বজ্রঝড়ের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। করাচি বন্দরের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, পাথানামথিট্টা, আলাপ্পুজহা, কোট্টায়াম, ইদ্দুকি ও কোঝিকোড়ে হলুদ সতর্কতা জারি ছিল। কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি রয়েছে। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আরব সাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপ গত ৬ জুন ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পায়। তখন এর নাম হয় বিপর্যয়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নামের ক্রম অনুযায়ী তখন এর নাম হয় ‘বিপর্যয়’। এ নামটি বাংলাদেশের দেওয়া।

১৫ জুন দুপুর নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে গুজরাটের মান্দভি এবং পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি ভারতের সৌরাষ্ট্র ও কুচ এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ‘বিপর্যয়’।

Back to top button