রাজ্যদেশ

রাজ্যকে ঋণ নিতে চাপ দিচ্ছে মোদী সরকার, সিধান্ত বদল হবেনা বলে আভাস দিলো কেন্দ্র

পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ধার নেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রক তৈরী করছে চাপ। অর্থমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে যদি কোনো রাজ্য ধার নিতে ইচ্ছুক না হয় তাহলে GST ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২০২২ -এর জুন মাস পর্যন্ত।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমোন GST -র ক্ষতি পূরণ মেটাতে পারবেন না বলে রাজ্যগুলিকে দিয়েছিলেন দুটি প্রস্তাব। দুটি প্রস্তাবের মধ্যে প্রথম প্রস্তাবটি হলো লকডাউনের ফলে জিএসটি খাতে রাজ্যগুলির যে পরিমাণ আয় কমেছে, সেই ৯৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্যগুলি বাজার থেকে ধার করে নিক। দ্বিতীয় প্রস্তাব হলো রাজ্যগুলির রাজস্ব থেকে মোট যে পরিমাণ আয় কমেছে, সেই ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিক।অর্থমন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী অর্থহামন্ত্রীর প্রস্তাবে এখনো পর্যন্ত সায় দিয়েছে ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল।

তবে এখনো পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা জানায়নি তাদের অবস্থানের কথা। যদিও এই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখে সেই প্রস্তাবের কথা খারিজ করে দিয়েছে। এই ৯ টি রাজ্যের অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে যে রাজ্য নয় কেন্দ্র সরকারিই ধার করে তাদের GST ক্ষতিপূরণ মেটাক। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছে ‘‘যে সব রাজ্য কোনও বিকল্পেই রাজি হবে না, তাদের ২০২২-এর জুন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’

জিএসটি পরিষদের বৈঠক হবে আগামী ৫ অক্টোবর। আর সেই বৈঠকে বিরোধী রাজ্য গুলো আপত্তি জানালেও সরকারের সিদ্ধান্ত যে আটকে থাকবে না তা কেন্দ্র আভাস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ জিএসটি পরিষদে টো টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোট হলেই সংখ্যা গরিষ্ঠতার জেরেই পাশ হয়ে যাবে যেকোনো সিধান্ত।
তবে সেই প্রসঙ্গে বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বলেছেন যে এখনও পর্যন্ত একটি ক্ষেত্র বাদ দিলে জিএসটি পরিষদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়ে এসেছে। এখন কেন্দ্র সংখ্যার জোরে সিদ্ধান্ত পাস করাতে চাইলে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে ফাটল আরও বাড়বে।

তথ্য সূত্র: আনন্দ বাজার

Back to top button