ধানে ক্ষতিপূরণ এল ১৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা
পূর্ব বর্ধমানে পাকা ধান জমিতে প্রকৃতি কার্যত মই দিয়েছিল। খরিফ মরশুমে বহু চাষি ধান বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি। তাঁদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল। রাজ্য সরকার সেই সময় বিনামূল্যে বিমা করিয়ে দেওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিমা করে রাখা চাষিদের জন্য জেলায় ১৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা এসেছে। আরও তিন কিস্তিতে টাকা আসবে। প্রথম কিস্তির টাকা ৮হাজার ৫৭৫ জন কৃষক পাবেন। চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের চাষিদের অ্যাকাউন্টে ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫২৬ টাকা পাঠানো হবে। বর্ধমান-১ ব্লকে ১১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫১২, ভাতার ব্লকে ৫৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৭১, গলসি-১ ব্লকে ১ হাজার ৭৮১ জন চাষির অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ১০ লক্ষ ৮৩হাজার ৭০১ টাকা পাঠানো হবে। গলসিতে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয়। ধান কাটার সময় অতিবৃষ্টির জেরে এই ব্লকের চাষিরা সমস্যায় পড়েছিলেন। চাষিদের দাবি, শস্যবিমা থাকায় কিছুটা হলেও তাঁরা লোকসানের ধাক্কা সামলাতে পারবেন। আগে শস্যবিমার এত সুবিধা ছিল না। ফসল নষ্ট হয়ে গেলে কপাল চাপড়ানো ছাড়া কিছুই করার থাকত না। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, অতিবৃষ্টির সময় অফিসাররা মাঠে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। যে সমস্ত চাষির ধানচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁরা ধাপে ধাপে ক্ষতিপূরণ পাবেন। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, পরের কিস্তিতে আরও বেশি টাকা আসার কথা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আলু জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে আলু চাষিরাও বিমার টাকা পাবেন। রায়নার চাষি প্রদীপ দাস বলেন, আগে অনেকেই বিমা করতে চাইতেন না। কিন্তু এখন অধিকাংশ চাষিই বিমা করছেন। এবছর জেলার বহু আলু চাষিও বিমা করেছেন। আশা করি, তাঁরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন।