ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর বটতলা এলাকায়। নিজের মাকেই পুড়িয়ে দিয়ে পলাতক ছেলে। ছেলে ও বউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্তোর উর্ধ বৃদ্ধা মা-কে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলার। যদিও পরে পলাতক পলাতক ছিলেন ছেলে। তবে তাকে হাতে নাতে ধরেন এলাকাবাসী। এরপর পুলিশের হাতে অভিযুক্ত গোপাল রায় ও তার স্ত্রী শিল্পী রায়কে তুলে দেয় উত্তেজিত জনতা। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, মৃত ওই বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা।
তথ্য অনুযায়ী মৃতা বৃদ্ধার নাম সুভদ্রা রায়, বয়স ৭০-র বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তার মা-র উপর অত্যচার করে। এছাড়া এটাও জানা যায় যে, মাঝেমধ্যেই তারা বৃদ্ধার খাওয়া বন্ধ করে দিত। তবে এখানেই শেষ নয় বেধড়ক মারধরও করত তারা।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই বৃদ্ধার গায়ে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর মহিলা সম্পূর্ণ পুড়ে গেলে তাঁকে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পুলিশ জানতে পেরেই গতকাল রাতেই ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে গুণধর ছেলে ও তার বউ ফেরার থাকায় তাদের ধরা যায়নি। এরপর আজ সকালে ছেলে ও পুত্রবধূ এলাকায় উঁকিঝুঁকি মারতে আসে। সেই সময় এলাকার মানুষেরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশে খবর দেয়।
