ডাক্তার সেজে রোগী দেখলেন নাইট গার্ড, আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে এক হাসপাতালে
ডাক্তারবাবু রয়েছেন ছুটিতে, আর সেজন্য কি রোগী দেখা বন্ধ থাকবে ? আর এই সুযোগে নাইট গার্ড নিজেই ডাক্তার সেজে বসলেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গজল গ্রামীণ হাসপাতালে। ডাক্তার ছুটিতে থাকার কারণে ডাক্তারের বাড়িতেই নাইট গার্ড নিজেই ডাক্তার সেজে প্রেস্ক্রিপশন লিখে ওষুধ দিচ্ছিলেন। আর সেই নাইট গার্ডের সঙ্গী ছিলেনর বাড়ির কেয়াটেকার। মালদহের গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিক্যাল ইন চার্জ ডাক্তার শ্যামসুন্দর হালদার জানিয়েছেন, ‘৪ঠা অক্টবর থেকে ৮ই অক্টবর পর্যন্ত হাসপাতাল সুপার ছুটিতে আছেন। তিনি না থাকায় তার কোয়ার্টারও বন্ধ থাকা উচিত। কিন্তু একজন মহিলা এসে অভিযোগ করেছেন, সুপারের কোয়ার্টার্সে রোগী দেখছেন একজন ডাক্তার। কিন্তু ভুলভাল ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করা চোছে। সন্দেহ হতে তিনি অভিযোগ জানান’।
পিঙ্কি ভুঁইমালী নামের এক মহিলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। এর আগেও তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার বৃন্দাবন রায় এবং ডাক্তার শ্যামসুন্দর হালদারের কাছে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তার শারীরিক অবস্থার কথা শুনে ডাক্তার অঞ্জন রায়ের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন এক ব্যক্তি। ডাঃ অঞ্জন রায়ের কোয়ার্টার্সে গিয়ে ওই মহিলা দেখেন একজন ডাক্তারের পোশাকে রয়েছেন এবং অন্য আরেক জন তাকে সাহায্য করছেন।
এই প্রসঙ্গে পিঙ্কি ভুঁইমালী জানান, তিনি সেখানে যাওয়ার পর, তাকে চেকআপ করে একজন অপরকে বললেন ‘প্রেস্ক্রিপশন করে দে’। এরপর প্রেস্ক্রিপশন করে দিয়ে ওষুধ কিনতে বললেন বাইরের দোকান থেকে। আর সে থেকেই পিঙ্কির খটকা লাগে। একে তো একে অপরকে তুই সম্বোধন করে কথা বলছে, তার ওপর তারা হাসপাতাল থেকে নয়, বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলছে। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের মেডিক্যাল ইন চার্জ ডাক্তার শ্যামসুন্দর হালদার জানিয়েছে, ‘ঘটনাটি যখন আমার নজরে এসেছে, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জানাব। এভাবে ডাক্তার সেজে হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন লেখা খুবই বড় অপরাধ’।