স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্মার্টফোন শুধু কথা বলার কাজেই নয়, সিনেমা দেখা থেকে শুরু করে গেম খেলা, বিদ্যুত্ বিল পরিশোধ সবই করা যায়। তবে সারাক্ষণ ফোন চালিয়েও এর আয়ু ধরে রাখতে রিচার্জ করার প্রয়োজন পড়ে।
দিনে অনেকে একবার স্মার্টফোন চার্জ দেন আবার অনেকে দুই থেকে তিনবারও দেন।
তবে স্মার্টফোনের চার্জ নির্ভর করে এর ব্যাটারির উপর। তবে জানেন কি স্মার্টফোন একবার চার্জ দিলে কত টাকার বিদ্যুত্ খরচ হয়? এটি নির্ভর করে আপনার ফোনের ব্যাটারি এবং চার্জারের উপর।
বর্তমানে অধিকাংশ ফোনে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ব্যাটারি দেওয়া হলেও অনেক ফোনে সাধারণ কম ক্ষমতার ব্যাটারি দেওয়া হয়। এর ফলে খুব অল্প সময়েই চার্জ শেষ হয়ে যায়। একারণে বিভিন্ন সংস্থার তরফে বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে যেসব ফোনে কম ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি দেওয়া হয় সেসব ফোনে একাধিকবার চার্জ দিতে হয়। সেক্ষেত্রে বারবার চার্জ দেওয়ার ফলে বিদ্যুত্ বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না প্রতিবার চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ঠিক কত পরিমাণ বিদ্যুত্ খরচ হয়।
বিদ্যুত্ খরচের বিষয়টি নির্ভর করে কী ধরনের চার্জিং অ্যাডপ্টার ব্যবহার করছেন। তবে এবিষয়ে লরেন্স বার্কলে ল্যাবের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে যদি ৩ থেকে ৭ ওয়াটের মধ্যে কোনো চার্জিং অ্যাডপ্টার ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা চার্জ দিলে খরচ হয় .০০৬ থেকে .০১৪ ইউনিট বিদ্যুত্।
অর্থাত্ যদি আপনি প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে নিজের ফোন চার্জ করেন তাহলে সারা বছরে আপনার মোট ২ থেকে ৫ ইউনিট বিদ্যুত্ খরচ হবে। অর্থাত্ যদি ৭ টাকা করে প্রতি ইউনিটের দাম হয় তাহলে ফোন চার্জের জন্য প্রতি বছর খরচ ১৪ টাকা থেকে ৩৫ টাকা।
অনেকেই আছেন সারারাত কিংবা দীর্ঘসময় ফোন চার্জে দিয়ে রাখেন। এতে কিন্তু আপনার বিদ্যুত্ খরচ বাড়বে। কারণ ফুল চার্জ হওয়ার পরেও বিদ্যুত্ গ্রহণ করে স্মার্টফোন। এইভাবে ফোন চার্জিং সকেটের সঙ্গে লাগিয়ে রাখলে ২ থেকে ৪ ওয়াট বিদ্যুত্ খরচ বেশি হয় বলে জানা গেছে ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শুধু একটি ফোনের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ বিদ্যুত্ খরচ হয়। তবে ফোনের সংখ্যা বাড়লে, ব্যাটারি এবং চার্জিং অ্যাডপ্টারের উপর নির্ভর করেও ফোনের চার্জিং খরচ নির্ভর করে।