রাজনীতিতে সবথেকে চর্চিত ও সেলেব্রিটি জুটি হিসেবেই সবথেকে বেশি পরিচিত। নেটিজেনদের অনেকেই তাদের রংমিলান্তি জুটি বলেও কটাক্ষ করে থাকেন। কারণ তাদের রাজনৈতিক সভা হোক বা অন্যকোনও অনুষ্ঠান তাদের দুজনের পোশাক কখনো আলাদা রঙের হয়না। আর এমন জুটি থাকে সর্বদাই চর্চায়। এছাড়াও তারা দুজনই বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কেও মেনে চলেন কাপল গোল। তবে এবার শোভন ও বৈশাকীর সম্পর্ক পেলো অন্যমাত্রা।
শোভন চ্যাটার্জি এবার জামাও বস্তুতে তার বিশেষ বান্ধবীকে দিলেন এক বড়সড় উপহার। অপরদিকে তার বান্ধবীও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন যে তাদের একসাথে শুরু হয়ে গেলো যাত্রা পথ। তবে এই পথচলা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। তাদের এই নেকসাথে পথ চলা শুরু বহুদিন থেকেই। শোভন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে বাড়ি ছেড়ে ২০১৭ সালে বেহালার গোলপার্কের ফ্ল্যাটে উঠেছেন অনেক আগেই। ওপর দিকে বৈশাখীও তার স্বামী ও পরিবার ছেড়ে উঠে এসেছেন শোভনের কাছে।
কোন নতুন পথে তারা এবার হাতে চলেছেন তার উপরেই সবসময় নজর থাকে প্রায় সকলের “আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সব কিছু লিখে দিয়েছি বৈশাখীকে (Baishaki Banerjee)। আমার অবর্তমানে নয়, এখন থেকেই সবকিছুই বৈশাখীর”।শোভনের যুক্তি তিনি তার বিপদে -আপদে সবসময় পাশে পেয়েছেন বৈশাখীকে তাই তার কৃতজ্ঞতা বসত তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে বঞ্চিত করেই বান্ধবীর নামেই লিখে দিলেন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি।
এখন প্রশ্ন হলো শোভন বৈশাখীকে কত সম্পত্তির মালিক করে দিলেন। আর সেই হিসেবে পেতে যদি দেখা যায় ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সেই পাতায়। আর সেখানেই তার সম্পত্তির যে হিসেবে পাওয়া গিয়েছিলো তা হলো।
“২০১৪-১৫ অর্থবর্ষের হিসেব অনুযায়ী, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) বার্ষিক আয় ছিল ২৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪০ টাকা। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, শেয়ার, বন্ড, গয়না ইত্যাদি মিলিয়ে সেই সময় তার স্থাবর সম্পদের অর্থমূল্যে ছিল ১ কোটি ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৪২ টাকা। বাসযোগ্য জমি, চাষযোগ্য জমি এবং অচাষযোগ্য জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি বাবদ সেই সময়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৬০ টাকা অর্থমূল্যের অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন।”
অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হিসেবে অনুযায়ী শোভন চ্যাটার্জি মোট ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯১২ টাকার অর্থমূল্যের সম্পদের অধিকারী ছিলেন তবে বিগত ৫ বছরে শোভন চ্যাটার্জির সম্পত্তির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে নাকি কমে গেছে তা পরিষ্কার নয়। তাই অনুমান করা হচ্ছে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক এখন হয়ে উঠেছেন বৈশাখী।