Science: মহাকাশে তিন নক্ষত্রের গানের লড়াই, মহাশূন্য়ে বাজলো টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল আওয়াজ!

নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তিনটি পৃথক নক্ষত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শক্তি তরঙ্গগুলির একটি 3D সিমুলেশন তৈরি করেছেন। পরে সেগুলিকেই শব্দ তরঙ্গে বদলে দেন তাঁরা। তারপর জনপ্রিয় Twinkle Twinkle Little Star গানটির সুর সেট করেন সেখানে।
গবেষকদের দাবি, বায়ুমণ্ডলের জেরেই রাতের আকাশে উজ্জ্বল বিন্দুর মতো দেখায়। অধিকাংশ নক্ষত্রই একটি গ্যাসীয় গোলক। তাদের পিঠের দিকের অংশে প্লাজমা ঢেউয়ের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। অতি উন্নত টেলিস্কোপে সেই ঢেউ দেখা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, নক্ষত্র পৃষ্ঠের ওই ঢেউ দেখার জন্য়েই নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একটি 3D সিমুলেশন তৈরি করেন। আর এটা করতে গিয়েই প্লাজমা তরঙ্গকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করেন তাঁরা। এর পর মহাশূন্যে জনপ্রিয় গানের সুর তৈরি করতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তাঁদের।
এই প্রসঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-র গবেষক ইভান অ্যান্ডারস বলেন, “মহাকাশে কোনও কিছুই স্থির নয়। নক্ষত্রগুলির মধ্যেও একটা ঘূর্ণন রয়েছে। যা তাদের উপরি পৃষ্ঠে থাকা প্লাজমা স্তরে সমুদ্রের মতো তরঙ্গ তৈরি করে।”
অ্যান্ডারসের দাবি, তারার বুকের ওই তরঙ্গের জেরেই আকাশে এগুলিকে ঝিকমিক করতে দেখা যায়। “আমরা তিনটি নক্ষত্রের উপর কম্পিউটার মডেল তৈরি করেছিলাম। সেখান থেকে তরঙ্গের গতিবেগ বোঝার চেষ্টা করেছি আমরা। এটা সবচেয়ে কঠিন ছিল। কারণ টেলিস্কোপে আমরা নক্ষত্রের অস্তিত্ব দেখতে পাই। এর ভিতরের অংশ দেখা সম্ভব হয় না।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মহাশূন্যে নতুন এক জোড়া নক্ষত্রের হদিশ পায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA। অতি উন্নত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ওই দু’টি তারার ছবি ধরা পড়ে। নক্ষত্র দু’টি একে অপরকে প্রদক্ষিণ করছে বলে জানা গিয়েছে। পৃথিবীর থেকে ওই দুই তারার দূরত্ব প্রায় দেড় হাজার আলোকবর্ষ। তবে নক্ষত্র দু’টির জন্ম বেশিদিন আগে হয়নি বলে জানিয়েছে NASA।