সাবধান! IPCC-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, জলবায়ুর বিরাট পরিবর্তন প্রাণ হারাতে পারে অসংখ্য মানুষ
বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর বিরাট পরিবর্তন প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতেও জানালেন বিশেষজ্ঞরা । এই জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে প্রভাব পড়বে মানুষ এবং সমগ্র বাস্তুতন্ত্রের ওপরে। শুধু তাই নয় এই পরিবর্তনের ফলে বাড়বে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা যার প্রভাব পড়বে উপকূলবর্তী জনবসিতর উপর।
যে শহরগুলিতে প্রভাব পড়বে: এই জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী প্রভাব পড়বে চেন্নাই, মুম্বই, ভাইজ্যাক, গোয়া, কলকাতা, ম্যাঙ্গালোর, কোচি, সুরাত, মছলিপত্তনম, তিরুভানন্তপুরম, তুতিকোরিন। এছাড়াও উপকূলের অন্য শহরগুলিও বিপদ সীমার মধ্যেই রয়েছে।
উপকূলবর্তী শহরগুলির সমস্যা: এই জলবায়ুর পরিবর্তনে ফলে বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর যার ফলে জলের তলায় চলে যাবে শহরগুলো। সমুদ্রে জল ঢুকে পড়ায় নোনা জলে বাস্তুতন্ত্র এবং চাষ আবাদের ক্ষতি হবে। বাড়বে ভাঙন এবং উপকূল এলাকায় ক্ষতির পরিমান। ২১০০ সালের আগে উপকূলের শহর এবং বসতিগুলি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃদ্ধি পাবে সংকট এবং তাপমাত্রা: বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী বর্তমানে যেভাবে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে (০.১৫ মিটার) সে ভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী ১০০ বছরে বন্যা বৃদ্ধি পেতে পারে ২০ শতাংশ হারে। সমস্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি হতে পারে যদি সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পায় পারে ০.৭৫ মিটার আর তিনগুণ হলে ১.৪ মিটারের মতো। তাছাড়াও বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রয়েছে। তবে কোনও কোনও জায়গায় তা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। আবার কোনও কোনও জায়গায় তা ২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভার্চুয়াল সভা শুরু হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। যা চলে দুসপ্তাহ ধরে। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি আইপিসিসির নীতি নির্ধারকরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিযোজন এবং দুর্বল দিকগুলিকে চূড়ান্ত করেন। এরপর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় সোমবার।