“ভোটের আগে ঢালাও প্রতিশ্রুতি, সব মেটাতে গেলে তো দেশটাই দেউলিয়া হয়ে যাবে”-জানালেন নরেন্দ্র মোদী
রাহুল গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকায় “সবজান্তা” বলছেন, তখন মোদি ভোটমুখী রাজস্থানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছিলেন। মঙ্গলবার নয় বছর পূর্ণ হল মোদী সরকারের। আজমিরে এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি দলীয় অনুষ্ঠানে মোদি বলেন: “কংগ্রেস নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একটি নতুন খেলা শুরু করেছে।”
কিন্তু দেখতে হবে, ক্ষমতায় আসার পরে ওরা আদৌ সে সব পূরণ করছে তো? করছে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেগুলো পালন করলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে! নির্বাচনের আগে, কংগ্রেস কর্ণাটকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, খাদ্য রেশন এবং বেকারত্বের সুবিধার মতো পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদির প্রতিশ্রুতি-খোঁচা ছিল কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়কে উপহাস করা। বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেখান যে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি কর্ণাটকের জয়ে সহায়ক ছিল। এইভাবে, মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজস্থান পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্যে নির্বাচনে জাদু করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে পুরনো দলটি। রাজস্থানে নির্বাচনের আর পাঁচ মাসেরও কম বাকি। এ কারণে মোদি রাজ্যের জনসংখ্যাকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদির মতে, ‘গরিব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বঞ্চিত করে ওরা। রাজস্থানের মানুষও এর ভুক্তভোগী। ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে ওঁরা এমন একটা সরকার পেয়েছেন, যেখানে মন্ত্রী, বিধায়করা কোন্দলেই ডুবে রয়েছেন।’ বুধবার অজমের জেলার পুষ্করে বিখ্যাত ব্রহ্মা মন্দিরে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে একটি জনসভার জন্য হেলিকপ্টারে করে জয়পুর রোডের কায়দ বিশ্রামস্থলীতে যান। জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আপনারা ভুলে যাবেন না, এই কংগ্রেসই কিন্তু ৫০ বছর আগে গোটা দেশ থেকে দারিদ্র মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা পূরণ না করে বছরের পর বছর ধরে দরিদ্রদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এই দল।’