নিউজ

Chandrayaan-3: আর অল্প পথ বাকি..,চাঁদের দুয়ারে কড়া নাড়ল চন্দ্রযান-৩, জেনেনিন সর্বশেষ তথ্য

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরোর) চন্দ্রযান-৩ মিশন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার জন্য দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ১৪ আগস্ট, চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথের আরও এক ধাপ নীচে নামল। এটি ১৫০ কিলোমিটার x ১৭৭ কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রবেশ করেছে এবং ১৬ আগস্ট সকাল সাড়ে আটটায় পরবর্তী অপারেশনটি সম্পন্ন করবে।

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার “বিক্রম” এবং রোভার “প্রজ্ঞান” চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখনও পর্যন্ত চাঁদের বুকে যে তিনটি দেশ পা রেখেছে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন – কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৮টি সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছে পৃথিবীর সব মহাকাশ সংস্থা। সাফল্যের হার ৫২ শতাংশ।

চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের পর থেকে চন্দ্রযান-৩-এর গতিবেগ কমানো হচ্ছে। চাঁদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে যখন থাকবে তখন প্রোপলশন মডিউলের ইঞ্জিন বন্ধ হবে। চাঁদের জমিতে ল্যান্ডার “বিক্রম”-কে উল্লম্বভাবে নামানোটাই বড় বিষয়। কারণ “বিক্রম” যখন মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যাবে তখন থেকে আড়াআড়িভাবে এগোতে থাকবে সেটি। নানাভাবে সেটিকে ঘুরিয়ে নির্বিঘ্নে অবতরণ করানোটাই কঠিন কাজ। চার বছর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২-কে চাঁদের পৃষ্ঠে নির্বিঘ্নে অবতরণ করাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরো। তবে একান্ত ২৩ অগাস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে না পারলে সেপ্টেম্বর মাসে অবতরণের কথাও ভেবে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা।

চন্দ্রযান-৩-এ একটি ল্যান্ডার মডিউল (LM), একটি প্রোপলশন মডিউল (PM) এবং একটি রোভার “প্রজ্ঞান” রয়েছে। ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদে সফট ল্যান্ড করতে সাহায্য করবে। প্রোপলশন মডিউল চন্দ্রযানটিকে চালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছে। রোভার “প্রজ্ঞান” চন্দ্রপৃষ্ঠে নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে, একাধিক তথ্য সংগ্রহ করবে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩-কে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় সেটি। এর আগে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলকে কাজে লাগিয়ে তার কক্ষপথের চারদিকে ঘুরছিল চন্দ্রযান-৩। এখন অন্তিম পর্যায়ের অপেক্ষা।

চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণ ভারতকে মহাকাশ গবেষণায় একটি বড় সাফল্য এনে দেবে। এটি ভারতকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানোর প্রথম দেশ করবে।

Back to top button