“বায়রন বিশ্বাস এখন মিরজাফর বিশ্বাস হয়ে গেল”-কটাক্ষ বিজেপির বড় নেতার
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে মিরজাফর বিশ্বাস বলে কটাক্ষ করলেন । সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘এই উপনির্বাচনের পর বলেছিলাম কংগ্রেসের যিনি প্রার্থী তিনি জেতার পরের দিনই হয়তো তৃণমূলে চলে যাবে। সেটাই দেখা গেল। বাইরন বিশ্বাস এখন মিরজাফর বিশ্বাস হয়ে গেল। এখন চলবে এরকমই।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাম কংগ্রেস জোট আরও মজবুত হতে শুরু করেছিল। বিরোধীরা কার্যত অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। যা শাসক শিবিরে কম্পন ধরিয়েছিল। ফের পাশা বদল। বিধানসভায় কংগ্রেসকে শূন্য করে একমাত্র প্রতিনিধি বাইরন বিশ্বাসকে দলে টেনে নিল ঘাসফুল শিবির। অধীর সহ কংগ্রেস শিবির বাইরনের দলত্যাগকে বিশ্বাস ঘাতকতা হিসাবেই দেখছে।যদিও অধীর চৌধুরী বলেন, ”নানা প্রলোভন, নানা ছল করেই বাইরনকে দলে টানা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস তাদের ক্ষমতা প্রমাণ করে দিয়েছে সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে। কংগ্রেস প্রমাণ করে দিয়েছে, তৃণমূল অপরাজেয় নয়।”
বহুদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। কিন্তু, কেউ বিশ্বাসের জায়গায় মেনে নেয়নি। অবশেষে সবার সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে তৃণমূল কংগ্রেসেই যোগ দিলেন বাইরন বিশ্বাস। নিজের গড়ে ফের শূন্যের তকমা গায়ে পড়ল হাত শিবিরের। ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সোমবার ঘাটালের এক জনসভায় অভিষেকের হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিলেন প্রদেশ সভাপতির অন্যতম আস্থাভাজন বাইরন বিশ্বাস। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ নয়, এই দলবদল পঞ্চায়েতের আগে কংগ্রেসের মজবুত ভীতে তীব্র ধাক্কা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।