
অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চাকরি হারানো শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, যে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই (দাগি হিসেবে চিহ্নিত নন), তাঁরা আপাতত স্কুলে গিয়ে ক্লাস নিতে পারবেন।
একইসঙ্গে, আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমাও বাড়িয়েছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশই বহাল থাকবে এবং তাঁরা আপাতত স্কুলে ফিরতে পারবেন না। এই রায়ের কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই রায় পড়ুয়াদের শিক্ষা নিয়ে আদালতের উদ্বেগের ফল। এই নির্দেশের ফলে কেউ কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না।”
শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি জারি করারও নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে একটি হলফনামা ৩১ মে-র মধ্যেই আদালতে জমা দিতে হবে। আদালত স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর না করা হয়, তবে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী:
যে শিক্ষকরা দাগি হিসেবে চিহ্নিত নন, তাঁরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন।
গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশ বহাল থাকবে, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন না।
৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে এবং আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্দেশ কার্যকর না হলে, আদালত এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ প্রত্যাহার করবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় চাকরি হারানো অ-দাগি শিক্ষকদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার কঠিন চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের সামনে খাড়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে কিনা।