BigNews: ১৬০০ কোটি বকেয়া! চাপে পড়ে বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে এবার সরকারি দফতর
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে থাকায় অর্থসঙ্কটে জর্জরিত রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। বারবার তাগাদা দিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষে টনক নড়ল সরকারি দপ্তরগুলোর। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশে বকেয়া বিল মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।
বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। নগরোন্নয়ন দপ্তরের বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। এছাড়া পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি, পূর্ত দপ্তরের কাছ থেকে ১২০ কোটি এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের থেকে প্রায় ১১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা, ডিএম-এসডিও-বিডিও অফিস এবং সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও কয়েক কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য সরকারি দপ্তরগুলোর সঙ্গে একাধিকবার সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় এ নিয়ে দপ্তরের সচিবদের সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সম্প্রতি কোন অফিসে কত টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে, তা জানতে পূর্ত দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কার কত বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে সে ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার মধ্যে কোনও ভুয়ো বিল রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকেও এই ধরনের সার্কুলার ইস্যু হয়েছে। একই ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত, সমিতি এবং জেলা পরিষদ ও পুরসভাগুলোর কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এবং মুখ্যসচিবের নির্দেশের পর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা আশা করছেন, শিগগিরই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা পাবেন তারা।