নিউজ

বাংলার মেয়ে সুমির আবিষ্কারেই হার মানবে অক্সফোর্ডের টিকা?

বিশ্বজুড়ে এখন একটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে তা হলো করোনা। আর এই করোনা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে বেশ এগিয়ে গেছেন বাংলার কন্যা কলকাতার লেক টাউনের বাসিন্দা সুমি বিশ্বাস।
করোনা প্রতিরোধের জন্য হেপাটাইটিস-বি’র টিকার উপরেই করোনার স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে বানানো হয়েছে নতুন এই টিকা। আর এই টিকা ভারতে এগিয়ে থাকা অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ে আবিষ্কৃত করণের টিকা থেকেও হবে সহজলভ্য ও সস্তা।

করোনা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে অনেকটাই পথ এগিয়েছেন কলকাতার লেকটাউনের বাসিন্দা সুমি।

তার আবিষ্কার নিয়ে টিকা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো অক্সফোর্ড ও মডার্নার বানানো টিকার চেয়েও সুমির আবিষ্কৃত টিকা সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ সুমি এই টিকা উদ্ভাবনের জন্য যে টিকার উপর বাজি ধরেছেন তা হেপাটাইটিস-বি । আর এই টিকা বহু বছর ধরেই চালু রয়েছে গোটা বিশ্ব সহ ভারতেও।
আর সেই হেপাটাইটিস- বি টিকা ভারতেরই সিরাম কোম্পানি প্রতিবছর তৈরী করে প্রচুর পরিমানে।

আর সেই কারণেই সুমির আবিষ্কার করা প্রযুক্তিতে তৈরী টিকা হিউম্যান ট্রায়াল পর্ব উতরে যেতে পারবে খুব সহজেই বলে আশা করা হচ্ছে। সুমির আবিষ্কৃত টিকা ততটা সমস্যার সৃষ্টি করবে না। আর পদ্ধতিটি সম্পর্কে অনেকে অভ্যস্ত থাকার কারণে করোনা টিকা তৈরী করা যাবে খুব সহজেই।

এখন প্রশ্ন হলো অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত করোনা টিকাকে কি হার মানাবে সুমি বিশ্বাসের আবিষ্কৃত টিকা ?

সে প্রসঙ্গে সুমি নিজেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন ‘‘আমার সংস্থার উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে কোভিড টিকা বানানোর জন্য পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। সিরাম যেহেতু বহু দিন ধরেই প্রচুর পরিমাণে হেপাটাইটিস-বি-র টিকা বানিয়ে থাকে তাই এই চুক্তিতে আগ্রহ ছিল দু’পক্ষেরই। সেই টিকার তিন দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। তা ভারতেও হবে শীঘ্রই।

’’মোটামুটি সকলেই কোভিড টিকা বানাতে খুবই অল্প চেনা-জানা কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপরেই বাজি ধরছেন। অক্সফোর্ডের টিকা ‘ভেক্টর ভ্যাকসিন’। আর মডার্নার টিকা ‘মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিন’। আমরা কিন্তু এই বাজিটা জিততে চাইছি আরও সহজে। চেনা হেপাটাইটিস-বি টিকার অ্যান্টিজেনের উপর অনেকটাই কম চেনা-জানা কোভিডের অ্যান্টিজেনটিকে বসিয়ে দিয়ে আমরা নতুন কোভিড টিকা বানিয়েছি। যে প্রযুক্তিতে সেটা করেছি তার নাম- ‘সুপারগ্লু’। এতে সুবিধা, বহু দিন ধরে কার্যকারিতা ও গুণাগুণ জানা আছে বলে হেপাটাইটিস-বি টিকার অ্যান্টিজেনের উপর ভরসা রাখা যাচ্ছে।’’

‘‘তিন দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরীক্ষাতেও তা অনায়াসে উতরে যাবে। আর এই টিকা শুধুই করোনাভাইরাস নয়, যে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ, নানা ধরনের ক্রনিক রোগকেও যুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারবে’’, বললেন যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী সুমি।

Back to top button