
হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিবারগুলির জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় নতুন ঘর নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বড় নিকাশি নালা এবং রাস্তা তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। মঙ্গলবার নিউটাউনে পুর আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বাংলার বাড়িতে পুনর্বাসন
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ভাগাড় ধসের ফলে ৯৬টি পরিবার গৃহহীন এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য পুরসভার তত্ত্বাবধানে নতুন ঘর নির্মাণ করা হবে। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ সম্পন্ন হবে, যা শেষ করতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য বাংলার বাড়ি তৈরি করা হবে। দেড় বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
নিকাশি নালা ও রাস্তার উন্নয়নে কেএমডিএ
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেএমডিএ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বড় নিকাশি নালা এবং রাস্তা নির্মাণের কাজ করবে এই সংস্থা। অন্যদিকে, হাওড়া পুরসভা শুধুমাত্র ছোটখাটো মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে। ফিরহাদ জানান, “পানিহাটির মতো হাওড়াতেও বড় নিকাশি নালা এবং রাস্তা তৈরির কাজ করবে কেএমডিএ। এছাড়াও ভাগাড় সংক্রান্ত কাজ এবং বাংলার বাড়ি নির্মাণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে কলকাতা পুরসভার ওপর।”
ভাগাড়ের মাটি পরীক্ষা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
ভাগাড় ধসের কারণ অনুসন্ধানের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং তা পরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ভাগাড় সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বিপর্যয়ের পরবর্তী পরিস্থিতি
কয়েকদিন আগে হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড় ধসের ঘটনায় পাইপলাইন ফেটে যায়, যার জেরে আশপাশের অবৈধভাবে দখল করা বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দেয়। রাস্তায়ও ফাটল ধরে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফিরহাদ হাকিম দ্রুত প্রশাসনিক বৈঠক করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন।
সরকারের এই উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।







