নিউজ

স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের! দেশের থানাগুলিতে সিসিটিভি না থাকায় ক্ষুব্ধ আদালত, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে চরম উদ্বেগ

দেশের বিভিন্ন থানায় সিসিটিভি ক্যামেরার অভাব এবং পুলিশ হেফাজতে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে জনস্বার্থ মামলা (PIL) শুরু করল সুপ্রিম কোর্ট। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে আদালত। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতা-এর বেঞ্চ জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাজস্থানেই গত ৭-৮ মাসে ১১ জনের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে, যা আদালতের জরুরি হস্তক্ষেপকে অপরিহার্য করে তুলেছে।

আদালতের আগের নির্দেশ এবং বর্তমান পরিস্থিতি
এর আগে, ২০২০ সালে একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি থানা ও তদন্ত কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করেছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লক-আপ, জেরা কক্ষসহ থানার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অডিও-সমেত নাইট ভিশন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে ফুটেজ অন্তত ১৮ মাস সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু এত বছর পরেও দেখা যাচ্ছে, বহু থানায় হয় সিসিটিভি নেই, অথবা থাকলেও তা কার্যকর নয়। এই ঘাটতি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন বা মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে একটি বড় বাধা তৈরি করছে এবং পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্ট তার এই নতুন পদক্ষেপে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় তদারকি কমিটির হাতে। আদালত আরও জানিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগী বা তার পরিবার মানবাধিকার কমিশন বা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে, এবং তারা তদন্তের জন্য ফুটেজ তলব করতে পারবে।

এই স্বতঃপ্রণোদিত PIL-এর মূল লক্ষ্য হলো আদালতের নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করা, যাতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন বন্ধ হয় এবং স্বচ্ছতা বাড়ে। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নিয়মিত নজর রাখবে এবং রাজ্যগুলির কাছ থেকে দ্রুত সিসিটিভি ঘাটতি পূরণের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চাইবে।

Back to top button