আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে পেশ করা এই রিপোর্টে তদন্তের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিন সন্দেহভাজনের ফোন কলের তথ্য খতিয়ে দেখছে সিবিআই
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সিবিআই বর্তমানে তিনজন সন্দেহভাজনের ফোন কলের বিস্তারিত তথ্য (কল ডেটা রেকর্ড বা CDR) সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করছে। এছাড়া, তদন্তের স্বার্থে নতুন করে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, যা মামলার বিভিন্ন দিক পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা
সিবিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টার পাশাপাশি একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। তদন্তকারীরা সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতাল থেকে নতুন কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এই ফুটেজ ঘটনার রাতে হাসপাতালের ভেতরের পরিস্থিতি বোঝাতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তদন্তের গতি নিয়ে পরিবারের অসন্তোষ
সিবিআই দাবি করেছে যে তারা একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্যাতিতার পরিবার তদন্তের ধীরগতি নিয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আদালতের বাইরে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “কতদিন লাগবে এই তদন্ত শেষ হতে? শুধু হবে হবে শুনছি, কিন্তু আমরা বিচার কবে পাব?” পরিবারের আইনজীবীও একই সুরে বলেন, “তদন্তের কোনো দৃশ্যমান ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি না। শুধু তদন্ত চলছে বললেই তো হবে না, দ্রুত সুবিচার দরকার।”
পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর
সিবিআই জানিয়েছে, তারা তদন্তকে আরও গভীরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় এবং আগামী শুনানিতে নতুন তথ্য পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নির্যাতিতার পরিবার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে তদন্তে গতি আনার আর্জি জানিয়েছে। আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের ওপরই এই মামলার ভবিষ্যৎ গতি নির্ভর করছে।
এই ঘটনা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে। সবার চোখ এখন আদালত ও সিবিআই-এর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
