খেলানিউজ

বাড়িতে ফিরল ঋতুপর্ণ: আইপিএলে বিরাট কোহলির পা ছোঁয়ার পর গ্রেফতার, এখন সেলিব্রিটি জামালপুরের যুবক

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে ফিরল শহরের এক নতুন সেলিব্রিটি, ঋতুপর্ণ। আইপিএল ২০২৫-এর উদ্বোধনী ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত ঘটনা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। বিরাট কোহলির অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার পর, কোহলির প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা প্রদর্শন করতে গিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেন ঋতুপর্ণ। ফেন্সিং টপকে মাঠে প্রবেশ করে বিরাট কোহলির পা ছুঁয়ে প্রণাম করে বসে পড়ে তিনি। পরে তাকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু, আজ তিনি বাড়ি ফিরেছেন এবং তাঁর গল্প এখন জামালপুরের ঘরে ঘরে।

শনিবার, আইপিএল উদ্বোধনের দিন, কলকাতার ইডেন গার্ডেনে কেকেআর এবং আরসিবির মধ্যে টানটান ম্যাচ চলছিল। সেই সময়, বিরাট কোহলির অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার পর, ঋতুপর্ণ মাঠের ফেন্সিং টপকে ভেতরে ঢুকে গিয়ে বিরাট কোহলির পা ছুঁয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ফিল্ডিং সীমারেখা অতিক্রম করে মাঠে প্রবেশ করা এবং তার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার সকালে তাকে ময়দান থানার পুলিশ আটক করে এবং সোমবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মুক্তি পাওয়ার পর ঋতুপর্ণ জানায়, “বিরাট কোহলিকে আমি ঈশ্বরের মতো শ্রদ্ধা করি। ছোটবেলা থেকে তার পা ছোঁয়ার স্বপ্ন ছিল। ইডেনের মাঠে বিরাটকে দেখে আমি আর স্থির থাকতে পারছিলাম না। তাই তার পা ছুঁতে গিয়েছিলাম। যে জামা আমি পরে ছিলাম, সেটিতে বিরাট কোহলির ঘাম লেগে আছে। সে জামা আমি কখনোই ধোবাই না, সেটি সযত্নে রেখে দেব।” এছাড়াও, বিরাট কোহলির পায়ে ঠেকানো মাথার ব্যান্ড তিনি ফ্রেম করে রাখবেন বলে জানান।

বিরাট কোহলির প্রতি তার ভালোবাসা শুধু মাঠে নয়, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল ঋতুপর্ণের। তার স্বপ্ন, একদিন বিরাট কোহলির মতো খেলোয়াড় হয়ে খ্যাতি অর্জন করা। “আমিও একদিন ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পেতে চাই। কিন্তু এই ঘটনার পর আমি এখন এলাকার সকলের মুখে মুখে,” বলেন ঋতুপর্ণ।

এদিকে, গ্রেফতার হওয়ার পর ঋতুপর্ণের পরিবার চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঋতুপর্ণের মা-বাবা দ্রুত কলকাতা পৌঁছান যখন তারা তার গ্রেফতার হওয়ার খবর পান। তবে, এখন পরিবারের সবাই স্বস্তিতে রয়েছে কারণ তাদের প্রিয় ঋতুপর্ণ বাড়ি ফিরে এসেছে।

এখন জামালপুরের অলিতে গলিতে শুধু এক নামই চর্চিত—ঋতুপর্ণ। একদিকে যেখানে তাকে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের অদ্ভুত কাণ্ডের জন্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, অন্যদিকে তার স্বপ্নময় ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখেই গ্রামের মানুষরা তাকে সেলিব্রিটি হিসেবেই গ্রহণ করেছেন।

Back to top button