
ওবিসি (অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি) সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, ওবিসি নিয়ে রাজ্য সরকারের করা সমীক্ষা সম্পূর্ণ বেআইনি। শুভেন্দুর মতে, রাজ্যে শিল্পের অভাব, চাকরির সংকট এবং তার প্রভাব সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পিতভাবে ওবিসি সংক্রান্ত মামলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শুভেন্দু আরও বলেন, রাজ্য সরকার ওবিসি সম্প্রদায়ের সকলের কথা ভেবে কাজ করছে না। তাঁর দাবি, হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। এই অবস্থার প্রতিবাদে রামনবমীর পর কলকাতায় ‘হিন্দু ওবিসি বাঁচাও’ স্লোগানে বিজেপি একটি কর্মসূচির আয়োজন করবে। এই মিছিলে শুভেন্দু নিজেই নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি স্পষ্টভাবে অভিযোগ করেন, “তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্য বেশ কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্যাটাগরিকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওবিসি মণ্ডল কমিশনের লড়াইয়ের পরও এটা স্পষ্ট যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া যায় না। এটা বুঝতে পেরে রাজ্য সরকার ২৫ লক্ষ টাকার আইনজীবী নিয়োগ করেও কিচ্ছু করতে পারেনি। ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার জন্য লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হয়েছে। এজন্যই সুপ্রিম কোর্টে তিন মাস সময় চেয়ে ফাঁদ পেতেছেন মমতা।” তিনি ওবিসি নিয়ে করা সমীক্ষাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি করেন এবং বলেন, এতে সমাজের স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একা দায়ী না করে শুভেন্দু মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের দিকেও আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, “২০২৬-এ তৃণমূলের বিসর্জনের আগে রাজ্যে কোনও চাকরি হবে না।” ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতি এবং তার বাস্তবায়ন নিয়ে শুভেন্দুর এই তীব্র সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আগামী দিনে বিজেপির এই কর্মসূচি এবং তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।







