নিউজ

‘র‌্যাগিং’-এর ভিডিয়ো ভাইরালের হুমকি দিতেন, মোবাইলে ছিলো ভিডিওর ফোল্ডার! চাঞ্চল্যকর তথ্য সৌরভের বিরুদ্ধে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত যতই এগিয়েছে, ততই জোরাল হয়েছে ‘র‌্যাগিং’ তত্ত্ব। পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, স্বপ্নদীপকে মেইন হস্টেলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার করা হয়েছিল। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, হস্টেলে আসা নতুন কোনও পড়ুয়াকে গাঁজা কাটার ‘টাস্ক’ দিত সিনিয়ররা। না পারলে চলত অকথ্য গালিগালাজ। এমনকী যেসব পড়ুয়ারা কোনও নেশা করতেন না তাঁদের জোর করে মদ ও গাঁজা খাওয়ানো হত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটক তিন শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনগুলো ভিডিয়োর তথ্য পাওয়ার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে যে ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনে র‌্যাগিং চালিয়ে আসছিল। তদন্তকারীরাও ভাবছেন, কীভাবে কর্তৃপক্ষের সামনে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

তদন্তে, পুলিশ দেখতে পায় যে ছাত্রাবাসে প্রবেশ করার পর প্রথম শ্রেণির ছাত্ররা সৌরভের ঘরে আলাদাভাবে দেখা করার ফরমান জারি করা হতো। সেখানেই চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বিবস্ত্র করে ভিডিয়ো তুলে রাখা হতো মোবাইলে। পুলিশ ফোনে ছাত্রদের নামের বিভিন্ন ফোল্ডারও খুঁজে পেয়েছে। নির্যাতনের ভিডিওগুলো ওই ছাত্রের নামে একটি ফোল্ডারে সংরক্ষিত ছিল।

পুলিশের তদন্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের র‌্যাগিং সংস্কৃতির ভয়াবহ দিক সামনে এসেছে। এই ঘটনাটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার একটি বড় ব্যর্থতা। আমাদের অবশ্যই এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে র‌্যাগিং সংস্কৃতি নির্মূল করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন করতে হবে এবং তাদেরকে র‌্যাগিংয়ের শিকার হলে সাহায্য করতে হবে।

র‌্যাগিং একটি গুরুতর অপরাধ। এটি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। র‌্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা হতাশ, ভীত ও অসহায় বোধ করতে পারে। তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং এমনকি আত্মহত্যাও করতে পারে।

আমাদের অবশ্যই র‌্যাগিং সংস্কৃতি নির্মূল করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদেরকে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি এবং তাদেরকে র‌্যাগিংয়ের শিকার হলে সাহায্য করতে পারি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে র‌্যাগিং বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতে বলতে পারি। আমরা সবাই মিলে র‌্যাগিং সংস্কৃতি নির্মূল করতে পারি।

Back to top button