বিশেষ: কাজ সেরে বিশ্রামে চন্দ্রযান-৩, মহাকাশে ছুটছে আদিত্য-এল১, অপেক্ষায় কোন বড় চমক?
চাঁদে রাত শুরু হয়েছে। চাঁদের রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাই প্রজ্ঞান রোভার এবং বিক্রম ল্যান্ডার এখন ঘুমিয়ে আছে। তবে ঘুমের আগে তারা আমাদের জানালো অনেক অজানা তথ্য, যা ভবিষ্যতে বিজ্ঞান সাধনায় রসদ জোগাতে পারে।
চন্দ্রযান-৩ মিশনের মাধ্যমে ভারত চাঁদে মহাকাশযান অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে। ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে বিক্রম ল্যান্ডার। এরপর প্রজ্ঞান রোভার বেরিয়ে এসে চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়ায়। ১০ দিন ধরে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়।
প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটির রাসায়নিক মিশ্রণ, তাপমাত্রা এবং কম্পন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। এছাড়াও, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফার, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম এবং টাইটানিয়ামের উপস্থিতিও শনাক্ত করে।
বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কম ঘনত্বের প্লাজমা আবিষ্কৃত হয়।
চাঁদের রাতে ল্যান্ডার এবং রোভারের যন্ত্রপাতি হিমশীতল হয়ে যেতে পারে। তবে চাঁদে সূর্য উঠলে তারা আবার জেগে উঠতে পারে।
চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ভারতের পরবর্তী মিশনে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে।
আদিত্য-এল১: সূর্যের রহস্য উন্মোচনে ভারতের নতুন মিশন
চন্দ্রযান-৩ মিশনের পাশাপাশি ভারত আদিত্য-এল১ মিশনও পরিচালনা করছে। এই মিশনের মাধ্যমে ভারত সূর্যের রহস্য উন্মোচনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
আদিত্য-এল১ মহাকাশযান সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যবর্তী এল১ বিন্দুতে স্থির থাকবে। এই বিন্দুতে সূর্য এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ভারসাম্যপূর্ণ, তাই মহাকাশযানটি এদিক-ওদিক ছিটকে পড়বে না।
আদিত্য-এল১-এ লাগানো সাতটি পেলোড ফটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সূর্যের বাইরের স্তরগুলি অধ্যয়ন করবে। সূর্যের বাইরের স্তর থেকে উদ্ভূত সৌর ঝড়ের গতি পরিমাপ করবে। সূর্যের তাপমাত্রার ধরণও বুঝবে। সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। পৃথিবীতে সূর্যের রশ্মির প্রভাব বুঝবে।
আদিত্য-এল১ মিশনের মাধ্যমে ভারত সৌর বিজ্ঞানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।