টয়লেট সাফাইকর্মীর মেয়ে, ডাস্টবিন থেকে খাবার খেতেন তুলে, জেনেনিন ভারতী সিংয়ের ছেলেবেলা সম্পর্কে

টেলিভিশনের পর্দা হোক কিংবা সিনেমার পর্দা, কমেডিয়ান হিসেবে যাদের উপস্থিতি কোটি কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটায় তাদের বাস্তব জীবনটা কিন্তু ভীষণই কষ্টে ঘেরা। কপিল শর্মা হোন কিংবা ভারতী সিং, আজকে ভারতের যারা সর্বোচ্চ আয়কারী কৌতুকশিল্পী তারা প্রায় প্রত্যেকেই খুবই সাধারণ এমনকি নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন।
ভারতের কমেডি কুইন ভারতী সিংয়ের কথাই ধরুন। তিনি এখন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় মহিলা কৌতুকশিল্পী। তিনি প্রতি মাসে ২৫ লক্ষ টাকা রোজগার করেন এবং তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৩ কোটি টাকা। কিন্তু এক সময় ছিল যখন তিনি এবং তার পরিবার নিদারুণ অর্থকষ্টের মধ্যে ছিলেন। তখন দুবেলা পেটের ভাতের যোগানও হত না তাদের।
ভারতী সিংয়ের মা একজন টয়লেট সাফাই কর্মী ছিলেন। তিনি যখন অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যেতেন তখন অনেক মানুষ তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। ভারতী এসব দেখেই বড় হয়েছেন।
ভারতী সিংয়ের ছোটবেলাটা ছিল খুবই কষ্টের। তিনি কখনও একটা গোটা আপেল খেতে পারেননি। খিদের জ্বালাতে ডাস্টবিন থেকে বড়লোকদের ফেলে দেওয়া আধখাওয়া আপেল খেয়েও থাকতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু ভারতী কখনও ভেঙে পড়েননি। তিনি তার কষ্টের দিনগুলিকেই তার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি তার কৌতুক দিয়ে মানুষকে হাসিয়েছেন এবং তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
ভারতী সিংয়ের গল্পটি আমাদেরকে শিখিয়ে দেয় যে কষ্টের মধ্যেও আমরা যদি কখনও ভেঙে না পড়ি এবং আমাদের লক্ষ্যকে অনুসরণ করি তাহলে আমরা অবশ্যই সফল হতে পারি।