‘এখনও অনেক কাজ বাকি’,-চন্দ্রযান ৩-কে নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিলেন প্রাক্তন ইসরো চিফ
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল সফট ল্যান্ডিংের পর চন্দ্রযান-৩-এর মিশন শেষ হয়নি। প্রাক্তন ইসরো প্রধান কে শিবনের মতে, এখনই চন্দ্রাভিযান শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “চাঁদে সদ্য রাত শেষ হয়েছে এবং দিনের আলো ফুটতে শুরু করেছে। এবার ইসরোর তরফে সব সিস্টেমগুলিকে জাগানোর চেষ্টা করা হবে, ভিতরের যন্ত্রপাতিগুলি কাজ করার অবস্থায় রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে।”
ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে শিবন বলেন, “এখানেই শেষ নয়। আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে। আমরা সবাই জানি, চন্দ্রযান-১ এখনও অনেক তথ্য় পাঠাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গল্পের শেষ এখানেই নয়।”
তবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানকে জাগানোতে বেশ কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হতে পারে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। শিবন বলেন, “যন্ত্র, সোলার প্যানেল ও ব্যাটারিতে কোনও সমস্যা নেই। তবে চাঁদের হিমশীতল পরিবেশ সহ্য করে ট্রান্সমিটার, রিসিভারের মতো মিনিটের ইলেকট্রনিক উপাদান কাজ করবে কিনা তা দেখতে হবে।”
ইসরো স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টারের অধিকর্তা নীলেশ দেশাই বলেন, “আমরা ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রোভার ও ল্যান্ডারকে ঘুম থেকে তুলব বলে ঠিক করেছিলাম। তবে কয়েকটি কারণবশত আগামীকাল ২৩ সেপ্টেম্বর সেই কাজ সম্পাদন করা হবে। আমরা ল্যান্ডার ও রোভারকে ঘুম থেকে তুলে পুনরায় সক্রিয় করতে চাইছি।”
ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশন ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল সফট ল্যান্ডিং করেছে। ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানকে চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপন করা হয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রমে একটি ছোট্ট ল্যাবরেটরি রয়েছে যেখানে ভূতাত্ত্বিক ও রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়িয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, চন্দ্রযান-৩ মিশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যাবে। এই মিশনের মাধ্যমে ভারত চন্দ্র গবেষণায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে।