লাইফস্টাইল

এইভাবে পিঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলবে না! জেনেনিন বিস্তারিত

পিঁয়াজ কাটতে গেলেই চোখ থেকে জল বের হয় অনেকের। এমনকি, নিজে পিঁয়াজ কাটা হচ্ছে এমন সময়ে সামনে বসে থাকলেও অনেকের চোখেই ঝাঁজ লাগে। এতে যে জ্বালার উদ্রেক ঘটে তাতে অনেকেই মনে করেন, হয়তো এতে চোখ পরিষ্কার হয়। কিন্তু চক্ষু বিশেষজ্ঞরা একেবারেই তাতে সহমত নন। বরং এই জ্বালা যেমন অস্বস্তির, তেমন এই জ্বালাপোড়া চোখের জন্যও স্বাস্থ্যকর নয়। পিঁয়াজে উপস্থিত নানা সালফার জাতীয় যৌগের কারণেই এমনটা হয়। যেমন এর অন্যতম কারণ পিঁয়াজের অ্যামিনো এসিড সালফক্সাইড।

পিঁয়াজ কাটার সময় এর কোষের ভিতর থেকে অ্যালিনেজ নামক উৎসেচক ক্ষরণ হয়। এটি অ্যামিনো এসিড সালফক্সাইডকে সালফোনিক অ্যাসিডে পরিণত করে। এটি চোখের সংস্পর্শে এলেই এক নতুন যৌগ তৈরি করে যা চোখে জল আসতে বাধ্য করে।

কিন্তু বিজ্ঞানের এ সব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটা সত্ত্বেও কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে পিঁয়াজ কাটতে বসলেও একেবারেই চোখ জ্বলবে না, একটুও জল পড়বে না চোখ থেকে। এই উপায়ে সালফার বাদ গেলেও তা খাদ্যগুণ বা পুষ্টিতে প্রভাব ফেলে না। তাই নিশ্চিন্তেই এই উপায়ে কাটুন পিঁয়াজ।

১. পিঁয়াজ কাটার সময় তার মূলের দিকটি (গোড়ার অংশ) কেটে ফেলে দিন। পিঁয়াজের বেশির ভাগ উৎসেচক পিঁয়াজের গোড়ার দিকে থাকে।

২. খুব ধারালো ছুরি বা বঁটিতে পিঁয়াজ কাটুন। এতে পিঁয়াজের কোষগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সালফার কম ক্ষরিত হয়।

৩. পিঁয়াজ কাটার আগে তার শুকনো খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করে জলে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভেজার পর এই জল ফেলে দিন। ফের টাটকা জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে তার পর কাটুন পিঁয়াজ। এতে সবটুকু সালফার যৌগই প্রায় বেরিয়ে যায় পিঁয়াজ থেকে।

৪. খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন পিঁয়াজ। আধ ঘণ্টা পর বের করে ভাল করে ধুয়ে কাটুন তা।

৫. লবণ-জলে ভিজিয়ে রাখুন পিঁয়াজ। মিনিট পনেরো রাখার পর পরিষ্কার জল ধুয়ে তার পর তা কাটলে কোনও অসুবিধা হবে না। লবণ জল পিঁয়াজের সালফারকে শোষণ করে।

৬. ছুরি বা বঁটিতে ভিনিগার মাখিয়ে তা দিয়ে পিঁয়াজ কাটুন। ভিনিগার সালফার যৌগকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় অনেকটাই। ফলে চোখের জ্বালা কমবে।

Back to top button