রাত গভীর, তবু ঘুম নেই চোখে? মেনে চলুন ১০ নিয়ম! জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

মাঝরাত পেরিয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগেই। রাতের নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে চারপাশ! করেনি কেবল আপনাকেই। সকালে হয়তো জরুরী কোন কাজ আছে আপনার। এই মহুর্তে না ঘুমালে আপনার চলবেই না। তবু ঘুম আসছেনা আপনার। এমন দুশ্চিন্তার মাঝেও হঠাৎ আপনি খেয়াল করলেন আপনার অজান্তেই আপনমনে বিরামহীন নড়ে যাচ্ছে আপনার পায়ের পাতা দুটো!
কেবল পায়ের পাতা নড়াই নয়, ব্যাক্তি বিশেষে আরও অনেক মুদ্রাদোষ আপনার ঘুমকে করতে পারে আরও বিলম্বিত!চিকিৎসাবিজ্ঞান এমন পরিস্থিতিকে মানসিক অসঙ্গতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যার নাম ‘ইনসমনিয়া’। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর অনেকেই ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতায় ভুগেন। এই সমস্যাটি সাধারনত প্রাপ্তবয়স্কদের বেশী হয়।
দেখা গেছে, ২০-৩০ ভাগ মানুষ তাদের জীবনের একটি সময় নিদ্রাহীনতায় ভুগে থাকে যার ফলস্বরূপ তারা ঘুমের ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। পৃথিবীতে প্রায় ৫ ভাগ মানুষ ঘুমের মাঝে পা ঝাঁকায়, ৭ ভাগ মানুষ নিদ্রাহীনতায় ভুগে এবং ঘুমের মাঝে নাক ডাকার সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশী।কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। যদি আপনি অনিদ্রায় ভোগেন তবে মানতে পারেন এই নিয়মগুলো-
১. শুধু ঘুমের সময় হলেই বিছানায় যাবেন। ঘুম না আসলে বিছানা ছাড়ুন, নিজেকে অন্য কোন শব্দহীন কাজে ব্যাস্ত রাখুন এবং আবার ঘুম আসলে তবেই বিছানায় যান।
২. ঘুমানোর আগে পুরো ঘরটিকেই অন্ধকার কিংবা ডিমলাইট জ্বালিয়ে মৃদু আলোর ব্যবস্থা রাখুন।
৩. শব্দহীন করুন পুরো ঘর। অনেকসময় ঘড়ির কাঁটার আওয়াজও হতে পারে আপনার নিদ্রাহীনতার কারণ!
৪. ঘুমানোর আগে ভারি কোন ব্যায়াম করবেন না। এতে আপনার পেশিগুলো সতেজ হয়ে আপনার ঘুম আসার সময়টাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫. ঘুমানোর আগে ভারি কিছু না খাওয়াই ভালো।
৬. চা, কফি, কোলা, চকলেট এক কথায় ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ঘুমনোর অন্তত চারঘন্টা আগেই বন্ধ করুন।
৭. ঘুমানোর আগে আগে মদ্যপান থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
৮. ঘুমানোর ও ঘুম থেকে জেগে ওঠার একটি নির্দিষ্ট সময় তৈরী করুন, মেনে চলুন।
৯. অসময়ে ঘুমানোও আপনার নিদ্রাহীনতার কারণ হতে পারে।
১০. নিয়মিত ঘুমের ঔষধ সেবনের পর একসময় আমরা সেটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি, পরবর্তীতে ঘুমের ঔষধ ছাড়া আর ঘুম আসেনা। ফলে আমরা নিদ্রাহীনতায় ভুগি!