লাইফস্টাইল

অনেকেই গাজর খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকে করেন না। গাজর সালাদ হিসেবে আবার তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। কিন্তু গাজরের রসের উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এক গ্লাস গাজরের রস বয়সের ছাপ পড়া থেকে দূরে রাখে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এতে করে ডিটক্সিফাই হয় শরীর। গাজরের রস চোখের জ্যোতিও বাড়ায়। গাজরের রসের বাকি উপকারিতার কথা চলুন জেনে নেওয়া যাক। গাজরের রস হাই সুগার লেভেল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি বাড়ায় ইমিউনিটি। গাজরের ভিটামিন এ, সি, কে, বি ৬, পটাসিয়াম ও ফসফরাস রোগ তৈরি করা নানা জীবাণু ও ব্যাকটিরিয়ার হাত থেকে বাঁচায় শরীরকে। তাই প্রতিদিন সকালে যদি এক গ্লাস গাজরের জুস খেতে পারেন তাহলে এর উপকারিতা সম্পর্কে আগে জেনে নিন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের সহায়ক: গাজরের মধ্যে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধিকরণের সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও মুখের ত্বকের থেকে দাগ ছোপ দূর করে, বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে গাজরের জুস। ভিটামিন এ- এর অন্যতম উৎস হল গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে গাজর একেবারে কাঁচা না খেয়ে হালকা ভাপিয়ে নিয়েও খেতে পারেন। ক্যান্সার প্রতিরোধ: হজমের পর খাদ্যের কিছু উচ্ছিষ্ট আমাদের শরীরে থেকে যায়। যাকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল বলে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এই ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কম হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে যা হাড় গঠন, স্নায়ুর নানা সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। হার্ট সুস্থ রাখে: হার্টকে সুস্থ রাখতে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপ মুক্ত থাকাটা খুব দরকার। প্রয়োজন সঠিক খাবারের। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সুস্থ রাখে হার্টকে। উজ্জ্বল ত্বক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে রাখে সুস্থ এবং সতেজ। এসব পুষ্টি উপাদান ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে সেই সাথে স্কিন টোন উন্নত করে। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফ্যাট বার্ন হয় সহজেই। ফলে ওজন কমে। তাই মর্নিং ওয়াকের পর এই জুস এক গ্লাস খেলে ভালো উপকার পাবেন। যেভাবে তৈরি করবেন গাজরের জুস: গাজর ছোট টুকরো করে নিয়ে অল্প ভাপিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, সামান্য লবণ, চিনি আর এক চামচ লেবুর রস, ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। গাজরের জুস তৈরির পর বেশিক্ষণ রেখে না দিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে তা খাওয়া শেষ করুন।

অনেকেই গাজর খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকে করেন না। গাজর সালাদ হিসেবে আবার তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। কিন্তু গাজরের রসের উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এক গ্লাস গাজরের রস বয়সের ছাপ পড়া থেকে দূরে রাখে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এতে করে ডিটক্সিফাই হয় শরীর। গাজরের রস চোখের জ্যোতিও বাড়ায়। গাজরের রসের বাকি উপকারিতার কথা চলুন জেনে নেওয়া যাক।

গাজরের রস হাই সুগার লেভেল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি বাড়ায় ইমিউনিটি। গাজরের ভিটামিন এ, সি, কে, বি ৬, পটাসিয়াম ও ফসফরাস রোগ তৈরি করা নানা জীবাণু ও ব্যাকটিরিয়ার হাত থেকে বাঁচায় শরীরকে। তাই প্রতিদিন সকালে যদি এক গ্লাস গাজরের জুস খেতে পারেন তাহলে এর উপকারিতা সম্পর্কে আগে জেনে নিন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের সহায়ক:

গাজরের মধ্যে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধিকরণের সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও মুখের ত্বকের থেকে দাগ ছোপ দূর করে, বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে গাজরের জুস। ভিটামিন এ- এর অন্যতম উৎস হল গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে গাজর একেবারে কাঁচা না খেয়ে হালকা ভাপিয়ে নিয়েও খেতে পারেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধ:

হজমের পর খাদ্যের কিছু উচ্ছিষ্ট আমাদের শরীরে থেকে যায়। যাকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল বলে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এই ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কম হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে যা হাড় গঠন, স্নায়ুর নানা সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখে:

হার্টকে সুস্থ রাখতে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপ মুক্ত থাকাটা খুব দরকার। প্রয়োজন সঠিক খাবারের। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সুস্থ রাখে হার্টকে।
উজ্জ্বল ত্বক:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে রাখে সুস্থ এবং সতেজ। এসব পুষ্টি উপাদান ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে সেই সাথে স্কিন টোন উন্নত করে।

কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ:

কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফ্যাট বার্ন হয় সহজেই। ফলে ওজন কমে। তাই মর্নিং ওয়াকের পর এই জুস এক গ্লাস খেলে ভালো উপকার পাবেন।

যেভাবে তৈরি করবেন গাজরের জুস:

গাজর ছোট টুকরো করে নিয়ে অল্প ভাপিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, সামান্য লবণ, চিনি আর এক চামচ লেবুর রস, ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

গাজরের জুস তৈরির পর বেশিক্ষণ রেখে না দিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে তা খাওয়া শেষ করুন।

Back to top button