এই অভ্যাস গুলো বানিয়ে ফেলুন, বজায় থাকবে আপনার তারুণ্য
তারুণ্য দীর্ঘ হোক কে না চায়? কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়া শুরু করে। নিয়মিত কিছু সুঅভ্যাসে স্থায়ী করতে পারেন তারুণ্য।
অনেকেই বিভিন্ন এন্টি-এইজিং পণ্য ব্যবহার করে থাকেন তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। কিন্তু এসব পণ্য তারুণ্য ধরে রাখার চাইতে আপনার আরও ক্ষতি করে বেশি। তাই তারুণ্য ধরে রাখতে বেছে নিন প্রাকৃতিক উপায়।
আপনার জন্য আজকের টিপস, যে অভ্যাসগুলো মেনে চললে তারুণ্য থাকবে দীর্ঘ সময়—
১. হাসিমুখে থাকা
সবসময় হাসিখুশি থাকলে সেটি আমাদের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে দীর্ঘ সময়। গবেষণাতেও দেখা গেছে যে, যারা হাসিমুখে থাকে তাদের বয়সের তুলনায় দেখায় অনেক কম বয়সি। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
২. আঙুর খান
আঙুর আমাদের ত্বকের ওপর অনেক ভালো প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের ত্বকের জলকে আকর্ষণ করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করে সেটি ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে আপনি পেতে পারেন মাধুর্য ও উজ্জ্বলতা।
৩. সবুজ শাক ও লাল খাবার খান
বিভিন্ন সবুজ শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন কে আমাদের শরীরে রক্তজমাট বাঁধতে সহায়তা করে এবং ক্ষতের প্রভাব কমায়। আর লাল বিভিন্ন খাবার আমাদের ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, ফল ও শাকসবজি খেলে ত্বকের রঙ অনেক ভালো হয়।
৪. মেকআপ কম ব্যবহার
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেকেই বেছে নেন মেকআপ। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বেশি মেকআপ ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের সতেজতা কমে যায়। তাই কম মেকআপ ব্যবহার করলে তা আপনর ত্বককে সতেজ থাকতে সহায়তা করবে এবং আপনার বার্ধক্যকে বাধা প্রদান করবে।
৫. হাইড্রেট থাকুন
আমাদের শরীরের জন্য জল অত্যন্তু জরুরি। আপনি যত বেশি জল পান করবেন, ততই আপনি হাইড্রেট থাকবেন। আর বেশি করে জল পান করলে তা আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে, নিস্তেজ দেখানো রোধে এবং বলিরেখা রোধে সহায়তা করে।
৬. চিনি ও বাড়তি লবণ পরিহার করুন
চিনিতে থাকা শর্করা এবং অতিরিক্ত লবণ আপনার শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। আর এটি আপনার বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে পারে। তাই আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে চিনি এবং বাড়তি লবণ খাওয়া পরিহার করুন।
৭. পর্যাপ্ত প্রোটিন নিন
আপনার নিয়মিত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন আপনার পেশিকে ফিট রাখতে সহায়তা করে। আর আপনার শরীরের কম সংজ্ঞায়িত পেশিগুলো আপনাকে আপনার বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক দেখাতে সহায়তা করতে পারে। আর এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পর্যপ্ত পরিমাণে প্রোটিনজাতীয় খাবার খান।
তবে চেষ্টা করুন, মাংসের প্রোটিন না খেয়ে উদ্ভিদের প্রোটিন বেশি খাওয়ার।