লাইফস্টাইল

আপনার হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখবে যে সমস্ত খাবার, অবশ্যই জেনেনিন

আপনার শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ উপাদান বেশি পাওয়া সম্ভব পেঁপে থেকে। অন্যদিকে একটি মাঝারি আকারে মিষ্টি আলু জোগান দেবে, প্রয়োজনীয় ১২ শতাংশ পটাশিয়াম, এ খনিজ উপাদান, ছাড়া লাইকোপেন এমন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

জলপাই তেল, ওটমিল ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ মাছ হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো। আমাদের দেশে জলপাই তেলে রান্না আর ব্রেকফাস্টে ওটমিল খাওয়ার মতো পরিবারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এ তিনটি খাবার ছাড়া আরো অনেক খাবার রয়েছে, যা সহজলভ্য ও হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এগুলোও যে হূত্বান্ধব খাবার। চীনাবাদাম, মিষ্টি আলু, পেঁপে, টক দই ও ডিম— হূত্বান্ধব এ পাঁচ খাবার ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্তচাপ কমায়, ক্ষতিকারক প্রদাহ কমায় ও অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভূমিকা রাখে।

পেঁপে

আমরা প্রায় সবাই জানি, টমেটো লাইকোপেনসমৃদ্ধ খাবার। লাইকোপেন এমন এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল কমায় ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এ উপাদান আরো বেশি পাওয়া সম্ভব পেঁপে থেকে। জার্মানির এক গবেষণায় জানা গেছে, টমেটোর চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি লাইকোপেন আছে পেঁপেতে। ফলে পেঁপে খেলে শরীর অনেক বেশি পরিমাণে লাইকোপেন শুষে নেয় এবং তা কোলেস্টেরল কমাতে কাজে লেগে পড়ে।

চীনাবাদাম

আমন্ড ও আখরোটের মতো সমান গুণ এতে নেই, কিন্তু প্রসঙ্গ যখন হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার, তখন বলা যায় এক্ষেত্রে চীনাবাদামের ভূমিকা শক্তিশালী। এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড যা ভালো কোলেস্টেরল উন্নীত করে এবং সম্পৃক্ত চর্বিজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পর রক্তনালির কার্যপ্রণালিতে সহায়তা করে বলে জানা যায় জার্নাল অব নিউট্রিশনের সাম্প্রতিক গবেষণায়। কুড়মুড়ে চীনাবাদাম ভিটামিন ইতে ভরপুর, ভিটামিন ই এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে কলার চেয়ে বেশি রয়েছে পটাশিয়াম। একটি মাঝারি আকারে মিষ্টি আলু জোগান দেবে আপনার ১২ শতাংশ পটাশিয়াম, যেখানে একটি মাঝারি আকারের কলায় থাকে ৯ শতাংশ। এ খনিজ উপাদান আপনার শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া এটি রক্ত ধমনীর ওপর চাপ কমায়, ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। বস্তুত উচ্চমানের পটাশিয়াম গ্রহণ করা মানে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৪ শতাংশ হ্রাস পাওয়া।

ডিম

গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হূদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। কারণ ডিমে যে ডায়েটারি কোলেস্টেরল থাকে, তা রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় না। শুধু তাই নয়, জার্নাল অব আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনের গবেষণায় আরো জানা গেছে, ডিম খেলে স্ট্রোক করার ঝুঁকি কমে ১২ শতাংশ। ডিমে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, যা শক্তিশালী অ্যান্টিইনফ্লামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে, তাহলে নিয়মিত আপনি কয়টি ডিম খাবেন, তা সহ একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে।

টক দই

প্রোবায়োটিক টক দই যে পাকস্থলীর জন্য ভালো, তা কে না জানে! সুস্থ হূদয়ের জন্যও টক দই উপকারী ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি তিন লাখ ব্যক্তির ওপর করা একটি চাইনিজ গবেষণায় জানা যায়, রোজ ৭ আউন্স করে টক দই খেয়ে এড়ানো যায় বিভিন্ন প্রকার হূদরোগ। তবে চিনি ও ফ্রেভার ছাড়া টক দই খেলেই কেবল এ উপকার পাওয়া যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা উচ্চতর চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খায়, তাদের চর্বিমুক্ত ডায়েট অনুসরণকারীদের তুলনায় হূদরোগ বিকাশের সম্ভাবনা তেমন বেশি নেই। বরঞ্চ এমন দুগ্ধজাত খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও ক্ষুধা কমায়।

Back to top button