লাইফস্টাইল

হাই কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাচ্ছেন? তাহলে এই কাজটি অবশ্যই করবেন

আমরা সকলেই খাদ্য রসিক মানুষ। খেতে খুব ভালোবাসি। আরে খাবারটা যদি জাঙ্ক ফুড হয় তাহলে তো কোনো কথাই নায়। জাঙ্ক ফুড বেশি খেলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কুলেস্ট কথা বলার আগেই আমরা জানবো কোলেস্ট্রল জিনিসটা আসলে কি।

কোলেস্ট্রল হল ফ্যাটি এসিড যা আমাদের লিভার এর মধ্যে তৈরি হয়। এটি শরীরের অনেক রকমের গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে। ইতি যখন মাত্রা অতিরিক্ত হয় তখন তার শরীরের পক্ষে খারাপ হয়ে দাঁড়ায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলছেন এই কোলেস্ট্রল খারাপ নয় কিন্তু এর সঙ্গে যখন টক্সিন যুক্ত হয় তখন তার শরীরে সমস্যাকে ডেকে আনে।

বদহজমের জন্য আমাদের শরীরে টক্সিন উৎপাদন হয়। বদহজমের জন্য টক্সিন শরীর থেকে বেরোয় না। শরীরের নানা দৃশ্য ওপর প্রভাব পড়তে থাকে। তখন কোলেস্টেরলের দ্বারা হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা কিছু নিয়ম মেনে চললে এই কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে কুপ্রভাব ফেলতে পারবে না।

১. ভারি জাঙ্ক ফুড বাতিল মসলাজাতীয় খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন। ইতি আপনার শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়ে যাবে।

২. ভারী খাবার খাওয়ার পর ঈষৎ উষ্ণ গরম জল পান করুন। এতে একদিকে যেমন আপনার হজমের সমস্যা হবে না অতিরিক্ত তেল আর ভাসবে না। ফলে লিভার, পাকস্থলী সবই খুব ভালো থাকবে।

৩. খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমাতে যাবেন না। খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে গেলে খাবারের থেকে এনার্জি পুরোটা কনসিউম হয় না এবং এটি ফ্যাট আকারে শরীরে জমা হয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।

৪. তৈলাক্ত বা ভারী খাবারের সঙ্গে আমরা অনেক সময় আইসক্রিম কোলড্রিংস খাই। কিন্তু একটি লিভার ও পাকস্থলীর উপর প্রভাব পড়তে দেখা যায়। আর সাথে সাথে কোলেস্টরলেরও মাত্রা অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই তৈলাক্ত বা ভারী খাবারের সঙ্গে কখনোই কোলড্রিংস বা আইসক্রিম খাবেন না।

আয়ুর্বেদ মতে কোলেস্ট্ররল থেকে দূরে রাখতে গেলে কয়েকটি খাবার খান–

১. গোটা গোলমরিচ– গোটা গোলমরিচ আমাদের লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমার কোলেস্টরলের মাত্রার হাত থেকে রক্ষা করে। এটি খেতে ঝাল হলেও আপনি যদি মধুর সাথে মিশিয়ে খান তাহলে অনেকটাই ঝাল কম লাগবে। দিনে অন্তত দুবার গোলমরিচ খান।

২. ত্রিফলা– যখন বুঝতে পারবেন ভারী খাবার বেশি খাওয়া হয়ে গেছে তাহলে ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে ত্রিফলা ভিজিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন দেখুন খাবার হজম হতে সাহায্য করবে ত্রিফলা।

৩. মধু– তৈলাক্ত খাবারের অ্যান্টিডোট হল মধু। তাই যখনই ভারী খাবার খেয়ে হজমের সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারবেন তখনই গরম জলে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। দেখুন দ্রুত আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

৪. গুগগুলু– এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একটি উপাদান যা কোলেস্টেরলের মাত্রা থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এটি বাজারের ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়। এটি কেনার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Back to top button