মুখের ত্বক টানটান রাখতে যত্নের ত্রুটি রাখেন না অনেকেই। মুখে যাতে বয়সের ছাপ এড়ানো যায় তার জন্য প্রতিদিন রূপচর্চা, নাইট ক্রিম, ডে ক্রিম, ফেশিয়াল এসব করেই থাকেন। কিন্তু বয়সের ছাপ কি শুধু মুখেই পড়ে?
মুখের দিকে নজর দিতে গিয়ে শরীরের অন্য অংশে তেমন যত্ন করেন না অনেকেই। আর তার মধ্যে অন্যতম হাত। অথচ এই অংশে কিন্তু সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে। কারণ সবচেয়ে সক্রিয় অঙ্গ সেটিই।
তাই মুখের চেয়ে হাতের ক্ষেত্রে বেশি যত্নের প্রয়োজন। হাতের ত্বক কুঁচকে থাকা, শিরা উঁচু হয়ে যাওয়া, হাতের চামড়া খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া বা ত্বক তার টানটান ভাব হারিয়ে ঝুলে যাওয়ার মাধ্যমেই বয়সের ছাপ দেখা যায়। তাই জেনে নিন কী ভাবে যত্ন নিতে হবে হাতের।
ত্বক হাইড্রেটেড রাখা খুবই প্রয়োজন। ত্বকে রুক্ষতা চলে এলে তাতে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে। তাই অবশ্যই রোজ গোসলের পরে হাতে ভাল করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। যতবারই হাত ধোবেন সাবান দিয়ে, চেষ্টা করবেন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে।
রোদে বের হওয়ার আগে শুধু মুখে সানস্ক্রিন লাগাবেন না। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি লাগলে মুখের থেকেও হাতে সহজেই ট্যান পড়ে যায়। ত্বককে দুর্বল করে দেয়। তাই বের হওয়ার আগে হাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন অবশ্যই।
রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে যেমন মুখে নাইট ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি, হাতে নিয়মিত হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে হাতের ত্বক সুন্দর থাকবে।
বেশি ক্ষার যুক্ত সাবান হাতে ব্যবহার করবেন না। আর করলেও অবশ্যই হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
ঘরের কাজ যেমন বাসন পরিষ্কার, কাপড় ধোয়া এ সব করতে গিয়ে হাতে বেশি ক্ষার লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে হাতে গ্লাভস পরে কাজ করুন।
এছাড়াও হাত সুন্দর রাখতে নিয়ম করে ম্যানিকিওর করুন। ভাল করে নখ কাটুন। আর মানানসই নেইলপলিশ দিন। তবে নেলপলিশ কিছুটা উঠে গেলে তার উপর দিয়েই নেইলপলিশ দেবেন না। আগে পুরোটা রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন। ফাঁকা নখে কিছুক্ষণ থাকুন। তার পরে নেইলপলিশ দিন।
