অল্প বয়সেই সাদা চুল? রং নয়, এই ঘরোয়া টোটকায় চুল করুন কালো, লম্বা ও ঘন!

আগে মনে করা হতো সাদা চুল মানেই বার্ধক্যের আগমন। তবে বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে বহু অল্পবয়সি ছেলে ও মেয়ের চুল পাকতে শুরু করেছে, এমনকি বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। এই সমস্যা সমাধানে অনেকেই বাজারের রাসায়নিক ভর্তি রং ব্যবহার করেন, যা চুলের আরও বেশি ক্ষতি করে। পার্লারে গিয়ে ব্যয়বহুল ট্রিটমেন্ট করালেও তা সাময়িক ফল দেয় এবং শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে।
তবে চিন্তা নেই! আজ আমরা এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব, যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসেই আপনার চুল কালো, লম্বা ও ঘন করতে পারবেন।
১. আমলকির ব্যবহার:
আমলকি চুলের জন্য এক দারুণ উপকারী উপাদান। আমলকির তেল, গুঁড়ো বা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুল পাকা সমস্যার সমাধান সহজেই মিলতে পারে। সপ্তাহে অন্তত তিনবার আমলকি-সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করলে আপনার চুল ঘন, মজবুত ও সিল্কি হয়ে উঠবে। আমলকিতে ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা চুল ধূসর হওয়া রোধে অত্যন্ত কার্যকর।
২. কারি পাতা ও নারকেল তেল:
নারকেল তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এর সঙ্গে সামান্য কারি পাতা মিশিয়ে চুলে লাগালে এটি আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। কারি পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে সেই তেল প্রতিদিন চুলে লাগালে আপনার সাদা চুল ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করবে।
৩. সরষের তেল, মেহেন্দি ও মেথি বীজ:
মেহেন্দি বা মেথি বীজের সাথে নারকেল তেল বা সরষের তেল মিশিয়ে লাগালে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পায়। নারকেল ও সরষের তেলে প্রোটিন, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনার মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি চুল ধূসর হতেও বাধা দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত চার-পাঁচবার এই তেল মালিশ করুন।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি সহজেই আপনার সাদা চুলের সমস্যা সমাধান করতে পারেন এবং আপনার চুলকে কালো, লম্বা ও ঘন করে তুলতে পারেন। বাজারের ক্ষতিকর রাসায়নিক রং এড়িয়ে চলুন এবং প্রকৃতির দানকে কাজে লাগিয়ে সুস্থ ও সুন্দর চুল পান।